শ্রীবরদীর কর্ণঝোড়ায় ভারতীয় চোরাই পন্যের রমরমা বাজার

শ্রীবরদী প্রতিনিধি,৫ নভেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার: দেশের প্রতিটি সীমান্তএলাকায় চোরাচালান নির্মূলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করলেও শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কর্ণঝোড়া বিজিবি ফাঁড়ির চোরাচালান বিরোধী অভিযান ঝিমিয়ে পড়ায় এ সীমান্ত ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে চোরাচালান। প্রায় প্রতিটি দিনই রাতের আধারে সীমাান্তের জিরো পয়েন্ট হয়ে চোরাই পথে ভারতীয় পণ্য আসলেও যে দেখার কেউ নেই। স্থানীয় কর্ণঝোড়া বাজারে ভারতীয় চোরাই পথে আসা আদা, সুপারি, কমলা লেবু, জিরা, বাই সাইকেল সহ বিভিন্ন সামগ্রী প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে । পাশাপাশি কয়েক সপ্তাহ যাবত সীমান্ত পথে আশা ভারতীয় গরু বিক্রি হচ্ছে কর্ণঝোড়া হাটবাজারে। স্থানীয় বিএনপি সমর্থিত এক জনপ্রতিনিধি বড় ভাইয়ের ছত্র ছায়ায় গড়ে উঠা চোরাচালান সিন্ডিকেটটি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। স্থানীয় সচেতন মহলের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে বিজিবি’র চোরাচালান বিরোধী মত বিনিময় সভা হলেও সীমান্তে চোরাচালান বন্ধ হচ্ছে না কেন? একাধিক সূত্রে জানা যায়, গত বেশ কিছুদিন যাবত এ সীমান্তে চোরাচালান সিন্ডিকেটের তৎপরতা বেড়ে গেছে। চক্রটি দল বেধে প্রতিটি রাতেই সীমান্তএলাকা থেকে ভারতীয় পণ্য সামগ্রী চোরাই পথে এনে গাড়ো পাহাড়ি বাবেলাকোনা, হারিয়াকোনা ও চান্দাপাড়া গ্রামের কিছু নির্দিষ্ট বাড়ীতে মজুদ করে রাখছে। পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে তা বিক্রি করছে। স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পের কথিত লাইনম্যান পরিচয়দানকারী চান্দাপাড়া গ্রামের হায়দার আলী এসকল পণ্য থেকে প্রতিনিয়ত চাঁদা উত্তোলন করে আসছেন। অতি সমপ্রতি সীমান্তের চোরাচালান নিয়ে বেশ কয়েকটি খবরের কাগজে সংবাদ প্রকাশিত হলে সীমান্তবাসীর মাঝে কৌতুহলের সৃষ্টি হলেও স্থানীয় কর্ণঝোড়া বিজিবি ফাঁড়ির এখনো টনক নরেনি। একাধিক সূত্র জানায়, কর্ণঝোড়া বিজিবি ফাঁড়ির ইনচার্জ নায়েক সুবেদার আশকর আলীর মদদে লাইনম্যান হায়দার আলী বিজিবি ফাঁড়ির সুনাম ক্ষুন্ন করে চাঁদাবাজীতে মেতে উঠেছে। এ ব্যাপারে কর্ণঝোড়া বিজিবি ফাঁড়ির নায়েক রবিউল বলেন, সীমান্তে চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে আমরা তৎপর কমসংখ্যক জনবল দিয়ে এত বড় সীমান্ত টহল দেওয়া বড়ই কষ্টকর। অপরদিকে বিজিবি ফাঁড়ির লাইনম্যান পরিচয়দানকারী হায়দার আলী বলেন, আমি বিজিবি ফাঁড়ির ইনচার্জের নির্দেশে এসকল পণ্য থেকে টাকা তুলি। জানতে হলে ক্যাম্পে গিয়ে জিজ্ঞাস করুন। নকশী বিজিবি ফাঁড়ির কোম্পানী কমান্ডার রফিকুর ইসলাম বলেন, বিজিবি’র পক্ষ থেকে চোরাচালান বন্ধে গত কয়েকদিন আগে মত বিনিময় করা হয়েছে। পাশাপাশি চোরাচালান বন্ধে বিজিবি টহল জোরদার রয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী শ্রীবরদী সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে ২৭ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র সিও লেঃ কর্ণেল বায়েজিদ খানের সু-নজর প্রত্যাশা করেছেন।