| দুপুর ১:৩৪ - শুক্রবার - ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ - ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গফরগাঁও পৌরবাসীর রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে বেওয়ারিশ কুকুর

আজহারুল হক, গফরগাঁও, ৪ নভেম্বর ২০১৫, বুধবার,
ময়মনসিংহের গফরগাঁও পৌর এলাকার নাগরিকদের রাতের নৈশব্দ আর সুখ নিদ্রায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে বেয়োরিশ কুকুরের দল। প্রতিদিন এমন অভিযোগের মুখোমুখি হচ্ছেন পৌরসভার কাউন্সিলরগণ । রাতের আঁধার ঘনিয়ে এলেও পৌরবাসীর কোলাহল থামে বেশ রাতে। তার উপর রাতের প্রথম প্রহর থেকেই পৌরসভার বেওয়ারিশ কুকুরগুলো তারস্বরে ঘেও ঘেও করে নাগরিকদের ঘুম হারাম করে দেয়। ফলে বাধ্য হয়ে অনেক বাসিন্ধাকে গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে লাঠি হাতে কুকুরের দলকে তাড়া করতে দেখা গেছে। আবার রাতের ট্রেনগুলো দিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ থেকে ফেরা অনেক যাত্রীকেও লাঠি হাতে চলতে দেখা গেছে।
পৌরবাসীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, গফরগাঁও পৌর এলাকার নয়টি ওয়ার্ডে প্রধান সড়কসহ ছোট-বড় অর্ধশতাধিক সড়কে দুই থেকে তিনশ গজ পর পর ৫-৭টি করে বেওয়ারিশ কুকুরের দল এক সাথে রাত ১১টার পর থেকে সারারাত্র ঘেউ ঘেউ করছে। সমস্বরে কুকুর দলের ঘেউ ঘেউ শব্দে পৌর এলাকার হাজার হাজার বাসিন্ধার ঘুম প্রায় হারাম হয়ে গেছে।
পৌরবাসীর অভিযোগ বার বার পৌর কতৃপক্ষকে কুকুর নিধন করতে বলা হলেও তাতে কোন কর্ণপাত করছেন না তারা।
নাগরিকদের অভিযোগ দীর্ঘদিন যাবত পৌরসভা বেওয়ারিশ কুকুর নিধন না করায় এ বিড়ম্বনায় পড়েছেন পৌরবাসী। কুকুরের এ যন্ত্রনা থেকে পরিত্রান পেতে পৌর এলাকার বাসিন্ধারা পৌর কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
পৌর এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা অবসরপ্রাপ্ত পাট কর্মকর্তা হাজী তাশারফ হোসেন বলেন, রাতভর কুকুর দলের ঘেউ ঘেউ শব্দে আমাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
ঢাকায় একটি বেসরকারি অফিসে কর্মরত মিজানুর রহমান জানান, বৃহস্প্রতিবার কাজ শেষ করে রাতে ট্রেনে গফরগাঁওয়ের বাসায় ফিরতে হয়। তখন রিকসা ভাড়া দিনের চেয়ে কয়েকগুন বেশি চাওয়ায় হেটে বাসায় ফিরতে গিয়ে কিছুটা পর পর কুকুর দলের সামনে দিয়ে আসতে ১০ মিটিনের রাসত্মায় ঘন্টা খানেক সময় লেগে যায়। ফলে এখন বাধ্য হয়েই কয়েকগুন বেশি ভাড়া গুনে রিকসা করে বাসায় যাই।
এ ব্যাপারে গফরগাঁও পৌর মেয়র এডভোকেট কায়সার আহমেদ বলেন, কুকুর মারতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তার পরেও উর্ধ্বতন কতৃপড়্গের সাথে কথা বলে অনুমতি পেলে কুকুর নিধনের ব্যবস’া করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:৫৭ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ০৪, ২০১৫