| সকাল ১১:৪৩ - বৃহস্পতিবার - ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বাকৃবিতে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম ‘জেল হত্যা দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভা

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ) নভেম্বর-০৪ ঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের আয়োজনে গত ০৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় টিএসটি কনফারেন্স হলে ‘জেল হত্যা দিবস’ উপলড়্গ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. মনোরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মনিরম্নজ্জামানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপসি’ত ছিলেন বাকৃবি ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ আলী আকবর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী বিজ্ঞাণ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ শহীদ উলস্নাহ তালুকদার।
অনুষ্ঠানে জাতীয় চার নেতার আত্নার শান্তি কামনায় দোয়া পাঠসহ চার নেতার কর্মময় জীবনের উপর বক্তব্য রাখেন বাকৃবির গণতান্ত্রিক শিড়্গক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ৩রা নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে চার জাতীয় নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরম্নল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরম্নজ্জামানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে। ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, স্তম্ভিত হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় বর্বরোচিত এ ধরনের হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
বক্তারা আরও বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকান্ড ছিল স্বাধীনতা বিরোধীদের ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ। বক্তারা শোককে শক্তিতে পরিণত করার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি শহীদ জাতীয় চার নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসে জাতীয় চার নেতার অবদান অপরিসীম।
ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলী আকবর জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতার হত্যাযজ্ঞ বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনষ্ট করার অপচেষ্টা মাত্র।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:০৮ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ০৪, ২০১৫