ইটনায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি, ৩ নভেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার,
কিশোরগঞ্জের ইটনায় ধনু নদীতে নৌকাডুবির দুইদিন পর নিখোঁজ স্কুলছাত্রী শর্মি রাণী দাসের (১১) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুর্ঘটনাস’লের এক কিলোমিটার ভাটিতে উপজেলার বাকসাই গ্রামের সামনের ধনু নদী থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সাতজন যাত্রী নিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি পার্শ্ববর্তী ধনপুর গ্রাম থেকে সিলুনদিয়া গ্রামে যাওয়ার পথে ‘দুই বন্ধু’ নামের একটি মালবাহী লোকাল কার্গোর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ডুবে গেলে ওই স্কুলছাত্রী নিখোঁজ হয়। নিহত শর্মি রাণী দাস সিলুনদিয়া গ্রামের দুলাল দাসের মেয়ে এবং স’ানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পঞ্চম শ্রেণীর চূড়ান্ত মডেল টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ শেষে রোববার বিকালে শর্মি দাস সিলুনদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই সহকারী শিড়্গিকাসহ অন্যদের সঙ্গে ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে সিলুনদিয়া গ্রামের বাড়িতে ফিরছিল। পথে ‘দুই বন্ধু’ নামের একটি মালবাহী লোকাল কার্গোর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে নদীতে তাদের নৌকাটি ডুবে গেলে শর্মি ছিটকে পানিতে পড়ে তলিয়ে যায়। এ সময় শর্মির সহযাত্রী সিলুনদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই সহকারী শিড়্গিকা তুলনা রাণী দাস (২৪) ও তপতী রাণী সরকার (২৮) আহত হন। দুর্ঘটনার পর থেকে ধনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার দাসের তত্ত্বাবধানে এলাকাবাসী উদ্ধার তৎপরতা চালায়। মঙ্গলবার দুপুরে বাকসাই গ্রামের ধনু নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে জানালে ইটনা থানার ওসি (তদনত্ম) মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস’লে গিয়ে নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর লাশটি উদ্ধার করে। নৌ-দুর্ঘটনার ঘটনায় লোকাল কার্গোটিকে আটক ছাড়াও কার্গোটির তিন কর্মচারীকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি (তদনত্ম) মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন।