মুক্তাগাছায় জনতা ব্যাংক থেকে গ্রাহকের ৬ লাখ টাকা উধাও
মুক্তাগাছা প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় জনতা ব্যাংকে গ্রাহকের সই জাল করে একাউন্ট থেকে ৬লাখ টাকা উঠিয়ে নেবার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক। ব্যাংক কর্মকর্তাদের জরিত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
ব্যাংক, অভিযোগের কপি ও ভুক্তভোগি গ্রাহক সূত্রে জানাযায় সরকারী চাকুরিজীবী সেকান্দার হায়াতের স্ত্রী রৌশন সুলতানা জেসমিন জনতা ব্যাংক মুক্তাগাছা শাখায় নিজের একাউন্ট নং- ২৩১৮ এ ১৯/০২/২০১৩ তারিখে ৬ লক্ষ টাকা রাখেন। মেয়ের উচ্চ শিক্ষার চিন্তা থেকে পারিবারিক সিদ্ধান্তে তিনি এ টাকা সঞ্চয়ি হিসেবে রেখে দেন। মেয়েকে বেসরকারী মেডিকেলে ভর্তি করাতে টাকার প্রয়োজন দেখা দেয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর ২০১৫) তিনি চেক নিয়ে ব্যাংকে যান। ৬ লাখ টাকার চেক জমা দিলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায় তার একাউন্টে কোন টাকা নেই। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ২৬/০২/২০১৩ তারিখে প্রতারকচক্র ভুয়া গ্রাহক সেজে চেক বই হারিয়ে যাবার কথা বলে ব্যাংক থেকে নতুন চেক বই উঠায় এবং সেই সাথে গ্রাহকের স্বাক্ষর জাল করে ১ লক্ষ টাকাও উত্তোলন করে নিয়ে যায়। পরবর্তিতে ১০/০৩/২০১৫ তারিখে আবার রৌশন সুলতানার স্বাক্ষর জাল করে প্রতারক চক্র একাউন্ট সাফা করে আরও ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যায়। এদিকে কোন গ্রাহকের চেক হারিয়ে গেলে,পুড়ে গেলে কিংবা অন্যকোন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবার কারনে নতুন চেক বই দেবার ক্ষেত্রে থানায় সাধারণ ডায়েরির অত্যাবশ্যকতা থাকলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার কোন প্রয়োজনীয়তা অনুভব না করে মনগড়াভাবে প্রতারকের হাতে নতুন চেক বই দিয়ে দেন। এ ঘটনায় ব্যাংকটির সেসময়ের শাখা ব্যবস্থাপক আবুল হোসেনসহ একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীর সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এব্যাপারে ব্যাংকটির বর্তমান শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান বলেন, তিনি ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে এ শাখায় যোগদান করেছেন। ঘটনাটি তার যোগদানের আগের। এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না উল্লেখ করে বলেন, এখন জানার পর তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপক আবুল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।