| দুপুর ১২:৩১ - শুক্রবার - ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ - ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গাইনী বিভাগের চিকিৎসকের চরম গাফিলতি সিজারের ৩ দিন পর পুন:অপারেশন

 

এএইচএম মোতালেবঃ ২৩ অক্টোবর ২০১৫, শুক্রবার,
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী বিভাগের চিকিৎসকের কর্তব্য কাজে চরম উদাসীনতার কারনে এক স্কুল শিক্ষিকার সিজারের মাধ্যমে কন্যা সন্তান প্রসবের ৪ দিনের মাথায় দ্বিতীয়বার অপারেশন করা হয়েছে।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, সিজারের পর চিকিৎসক পেটের ভেতরে রক্তাক্ত গজ রেখে সেলাই করায় প্রচন্ড ব্যথাসহ পেট ফুলে যায়, পরে দ্বিতীয়বার অপারেশন করে রক্তাক্ত গজ বের করা হয়। এ অভিযোগ অস্বীকার করে চিকিৎসকরা বলছেন, পেটে পুঁজ ও জমাট রক্ত থাকায় দ্বিতীয়বার অপারেশন করা হয়েছে। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপড়্গ বলেছেন অভিযোগটি তারা পেয়েছেন ও তদন্ত কমিটি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস’া নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
ময়মনসিংহ শহরের নওমহল এলাকার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী স্কুল শিক্ষিকা নুরম্নন্নাহার ববি সনত্মান প্রসবের জন্য গত ১৯ অক্টোবর ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডের ইউনিট থ্রি এর নিয়ন্ত্রনে ভর্তি হন। রাতেই সহকারী রেজিষ্ট্রার ডা. কানিজ ফাতেমার নেতৃত্বে সিজারের মাধ্যমে ববির কোলে আসে এক কন্যা সনত্মান। সিজারের পর থেকেই প্রচন্ড ব্যথা আর পেট ফুলতে শুরম্ন করে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসকের পরামর্শে আল্ট্রা সনোগ্রাম ও সিটিস্ক্যান পরীক্ষার পর চিকিৎসক জানায় ববির পেটে রক্তাক্ত গজ রেখে চিকিৎসক পেট সেলাই করায় তার সমস্যা দেখা দিয়েছে। পরে ২২ অক্টোবর রাতে হাসপাতাল কর্তৃপড়্গ দ্বিতীয়বার ববির অপারেশন সফলতার সাথে শেষ করে।
ববির বাবা মুক্তিযোদ্ধা নুরম্নল হক ও মাতা শামসুন্নাহার বেগম , ববির স্বামী আহসান কবির জানান চিকিৎসকের গাফিলতির অভিযোগ এনে বিচার ও আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি করেছেন স্বজনরা। এ ছাড়াও তাঁরা রোগীর অভিভাবকেরা চিকিৎসকের সাথে কথা বলতে গেলে তাদের সাথে অশুভ আচরন করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গাইনী ওয়ার্ডের ইউনিট প্রধান ডা. একেএম সাদিকুল আজম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান চিকিৎসকের কোন গাফিলতির ছিল না, দ্বিতীয়বার অপারেশন করে রোগীর পেট থেকে পুঁজ ও জমাট রক্ত বের করা হয়েছে। এ ধরনের হতেই পারে তবে এ রকম হওয়ার সংখ্যা খুব কম।
এ বিষয়ে কানিজ ফাতেমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান অপারেশন সফলতার সাথে সম্পন্ন হয়েছে। তবে রক্তের জমাট বাধা হতে পারে। রোগীর অসতর্কতার কারনে নিয়মকানুন মেনে না চললে এমন হওয়া স্বাভাবিক। রোগীর অভিভাবকদের অভিযোগটি সঠিক নয়। তারা না জেনে অনেক কিছুই বলতে পারেন এটা নতুন কিছু নয়।
এদিকে ময়মনসিংহ মেডিকের কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক তাজুল ইসলাম জানান হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ সঞ্জিব চক্রবর্তীকে প্রধান করে উচ্চ ড়্গমতা সম্পন্ন তদনত্ম টীম গঠন করা হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে। তদনত্ম রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেড়্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস’া নেয়া হবে বলে এ প্রতিনিধির সাথে আলাপচারিতায় জানা গেছে। ##

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:০১ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ২৩, ২০১৫