| বিকাল ৪:১৬ - মঙ্গলবার - ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৩ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গৌরীপুর পৌর সভার নির্বাচনঃমনোয়ন যুদ্ধ ও প্রচারণায় ব্যস্ত সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা

সাজ্জাতুল ইসলাম সাজ্জাত, ১৮ অক্টোবর ২০১৫, রবিবারঃ  মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে দলীয় মনোনয়ন ও দলীয় প্রতীকে। তাই ডিসেম্বরে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন দিয়ে শুরু হবে দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীকে নির্বাচন। ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর সভায় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সম্ভাব্য প্রাথীরা মনোনয়ন যুদ্ধের পাশাপাশি গণসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ঈদ, পূজায় শুভেচ্ছা জানিয়ে জনগণকে জানান দিচ্ছেন তারা এবার দলের সম্ভাব্য প্রার্থী। আবার অনেকেই ঈদ-পুজাঁর উপটৌকন হিসেবে ভোটারদের মন জয় করতে ঘরে ঘরে গিয়ে টাকাও বিলিয়ে কুশল বিনিময় করছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির প্রার্থীদের চেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা প্রচারণার মাঠে বেশ সরব। এ ক্ষেত্রে বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দের দাবি বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা বিভিন্ন মামলার আসামী হওয়ার কারণে ঠিকমতো নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারছেন না। সূত্র জানায়, ২০১০ সনের ১৭ জানুয়ারি গৌরীপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর ওই নির্বাচনে সৈয়দ রফিকুল ইসলাম (বর্তমান পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি) মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধ্বি ছিলেন সাবেক মেয়র মোঃ শফিকুল ইসলাম হবি। দু’জনেই আওয়ামী লীগের। এবার আসন্ন পৌর নির্বাচনেও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মুখে দু’জনের নামই জোরেশোরে উচ্চারণ হচ্ছে। এদিকে যুব সমাজ নিয়ে প্রচারণায় তুঙ্গে আছেন আরেক তরুণ নেতা কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আবু কাউছার চৌধুরী রন্টি। তিনজনেই দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। এছাড়াও পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রৌশন সারোয়ার সজির মেয়র পদে দলীয় মনোননয়ন চাইবেন। এদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির একাংশের যুগ্নআহবায়ক এডভোকেট শরাফ উদ্দিন খান পাঠান, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক ও ব্যবসায়ি ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর আনিছ, পৌর বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক বেগ ফারুক আহমেদ, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সুজিত কুমার দাস, উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ন আহবায়ক হারুন অর রশিদ আকন্দ প্রচারণা চালাচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রচারণায় আছেন সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুল হেলিম, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু সাঈদ মোঃ ফারুকুজ্জামান। নির্বাচন ঘিরে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে শেষ পর্যন্ত দু’দলের কার মাথায় উঠবে দলীয় মনোনয়নের মুকুট সেটিই দেখার অপেক্ষায় গৌরীপুর পৌরবাসী। দুই দলের একাধিক নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবারের পৌরসভা নির্বাচন যেহেতু দলীয় প্রতীকে হবে সে ক্ষেত্রে দলীয় মনোনয়ন পাওয়াটা প্রার্থীদের জন্য হবে একটা চ্যালেঞ্জের বিষয়। কারণ স্থানীয় রাজনীতির আধিপত্ব্যকে কেন্দ্র করে গৌরীপুরে বড় দুই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে একাধিক বলয় রয়েছে। সে ক্ষেত্রে অনেকেই চেষ্টা করবেন প্রভাব খাটিয়ে, অর্থ খরচ করে দলের মনোনয়ন ও বিজয় ছিনিয়ে আনতে। উপজেলা নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে দুই দলের অনেক নেতাই মনে করেন, দলের পক্ষ থেকে একক প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া অনেক ক্ষেত্রে কঠিন হয়ে পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে বিদ্রোহী প্রার্থী সামাল দেওয়াটাই দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মুন্নাফ বলেন, এ সরকারের আমলে স্থানীয় এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকির এর নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট, পুল-কালভাটসহ সামগ্রিক যে উন্নয়ন কাজ হয়েছে, তা অতীতে কখনো হয়নি। তাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন ভোটাররা। কারণ সব জায়গায় এখন আওয়ামী লীগের শক্তিশালী বলয় গড়ে ওঠেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিধূ ভুষণ দাস বলেন, দলীয় ভিত্তিতে এবার পৌর নির্বাচন হবে। আলোচনা করেই দলীয় প্রার্থী নির্ধারণ করা হবে। দলের মনোনীত র্প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্নআহবায়ক হাবিবুল ইসলাম খান শহীদ বলেন, পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রাথমিক প্রস’তি তৃণমূলে আছে। বিগত দিনে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে অসংখ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। ওইসব মামলায় পৌর নির্বাচন সামনে রেখে নেতাকর্মীদের হয়রানির আশংকা রয়েছে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের আলোকেই দলীয় প্রার্থী বাছাই করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:১৩ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ১৮, ২০১৫