জামালপুরকে বাল্য বিয়ের কলঙ্কমুক্ত করতে মির্জা আজমের আহ্বান
জামালপুর প্রতিনিধি, ১০ অক্টোবর ২০১৫, শনিবার,
‘শিশু বিয়ে দিয়ে কেউ করো নাকো ভুল, প্রত্যেকটি শিশু যেন এক একটি ফুল’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রোববার মিনা দিবস উপলক্ষে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা বের হয়। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপির নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি বৈশাখী মেলার মাঠ থেকে বের হয়ে শহর পদক্ষিণ শেষে টেনিস ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
মিনা দিবন উপলক্ষে টেনিস ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত হয় দিন ব্যাপী শিক্ষা মেলা। মেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি তাঁর পরিবারে একটি বাল্য বিয়ের ফলে সারা জীবনের কষ্ট আর কান্নার উদাহরণ তুলে ধরে জামালপুরকে বাল্য বিবাহের কলঙ্ক থেকে মুক্ত করার জন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশপাশি প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মীকে সোচ্চার ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহাবুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোশায়ের উল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরী, জামালপুর পৌরসভার মেয়র এ্যাডভোকেট শাহ মোঃ ওয়ারেছ আলী মামুন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া, ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা, মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, কাজি সমিতির সভাপতি মৌলানা মোঃ হাবিবুল্লাহ প্রমূখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স’ানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বলেন, সতিদাহ প্রথার ফলে স্বামীর সাথে স্ত্রীকে মরতে হতো। সতিদাহ প্রথা বিলুপ্ত হয়েছে। আজ চরম বাস-বতা বাল্যবিয়ে দিয়ে কন্যাদাহ প্রথার মাধ্যমে সারা জীবন ধরে জ্বলে পুড়ে মরতে হয় একজন কন্যাকে। এই অভিশাপ থেকে মুক্তির জন্য জেলাবাসীর প্রতি উদাত্ত অনুরোধ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কাজি সমিতি, সাংবাদিকবৃন্দ, ইউনিসেফ, উন্নয়ন সংঘ, ব্র্যাক, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, আইজল, তরঙ্গ মহিলা কল্যাণ সংস্থা, সৃষ্টি মহিলা উন্নয়ন সংস্থা, নাট্যনীড়, এফপিএবি, বামানেহ্, মেরী স্টোপস, সজিব হস-শিল্প, জাতীয় মহিলা সংস্থা, ইএসডিও, প্রগ্রেস, অপরাজেয় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহস্্রাধিক মানুষ অংশ নেন। মেলায় ১৫টি স্টল স্থান পায়। মেলামঞ্চে দিনভর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে জামালপুর জেলা প্রশাসন, সদর উপজেলা প্রশাসন ও জেলা শিক্ষা অফিস।