| রাত ১২:৪৬ - শনিবার - ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গৌরীপুরের সেই যৌন নিপিড়নকারী শিক্ষক এবার পিটালেন ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে !

স্টাফ রিপোর্টার:  গৌরীপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর উর্মি সাহা তুলি নামে এক ছাত্রীকে বেধড়ক পিটিয়েছেন সেই আলোচিত প্রধান শিক্ষক একেএম মাজহারুল আনোয়ার ফেরদৌস। গতকাল সোমবার শ্রেণী কক্ষে তিনি ওই শিক্ষার্থীর গায়ে হাত দিয়ে মারপিট করেন।
শিক্ষার্থী তুলি জানায়, একটি অংক ভুল হওয়ার কারণে প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস তাকে চড়থাপ্পর মারে আহত করে। এসময় শিক্ষার্থী শ্রেণী কক্ষে হাওমাউ করে কাদঁতে থাকে। পরে প্রধান শিক্ষক তাকে বলে যে, তুই কাউকে বলবি না। তোকে আর কোন দিন মারপিট করবো না। এদিকে স্কুল ছুটির পর শিক্ষার্থী তুলি বাসায় গিয়ে তার বাবা-মার কাছে কেঁদে কেঁদে ঘটনাটি জানালে শহরে হুলস্থুল পড়ে যায়। শিক্ষার্থী তুলি শহরের মধ্যবাজার এলাকার রঞ্জিত সাহার মেয়ে। ওই ঘটনাটি শুনার পর থেকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং সদস্যরা সহ স্থানীয় সাংবাদিকগণ খুজোঁখবর নিতে থাকেন। এক পর্যায়ে সংবাদটি শহরে ছাড়িয়ে পড়লে ওই প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রোজী সুলতানা রাত সোয়া ১০টার দিকে সান্তনা দিতে ছাত্রীর বাসায় যান। পরে তিনি সাংবাদিকের ক্যামেরা দেখে নিজেকে লুকানোর চেষ্ঠা করেন। এব্যাপারে শিক্ষার্থীরা বাবা রঞ্জিত সাহা ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করেছেন। বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুল মুন্নাফ ও মাদুস মিয়া রতন জানান, তারা মারপিটের ঘটনা শুনে শিক্ষার্থীর বাসায় যান এবং ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির আশ্বাস দেন। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ম.নুরুল ইসলাম জানান, আগামীকাল (বুধবার) এমএমসির সভায় এব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
প্রধান শিক্ষক একেএম মাজহারুল আনোয়ার ফেরদৌসের সাথে মোবাইলে যোগযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য যে, উল্লেখিত প্রধান শিক্ষক একেএম মাজহারুল আনোয়ার ভুটিয়ারকোণা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক থাকাকালিন সময়ে ৪র্থ শ্রেণীর জনৈক ছাত্রী যৌন নিপিড়নের দায়ের বিভাগীয় মামলায় দোষী প্রমাণিত হয়ে বিভাগীয় শাস্তির ভোগ করেন। তার যৌন নিপিড়নের ঘটনায় এই বিদ্যালয়ের মহিলা শিক্ষিকাগণ বদলির আবেদন। অতি সস্প্রতি প্রশাসনের একটি মহলকে ম্যানেজ করে শিক্ষক-অভিভাবকদের প্রচন্ড ক্ষোভের  মুখে নিয়ম বর্হিভুত ভাবে ফেরদৌস গৌরীপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে আসেন। ওই বিদ্যালয়ে তার যোগদানের প্রতিবাদে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অন্যত্র সরিয়ে নিতে ছাড়পত্রের আবেদন জানায়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে চরম অব্যবস্থাপনা বিরাজ করছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১:৩৮ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ০৫, ২০১৫