| সন্ধ্যা ৬:০৫ - শনিবার - ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শম্ভুগঞ্জের ময়লাকান্দায় শহরের বর্জ্য ফেলাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা ।। গাড়ী ভাংচুর ॥ আহত-৫

 

স্টাফ রিপোর্টার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫, শুক্রবার
ময়মনসিংহের পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় শহরের ময়লা-আবর্জনা শম্ভুগঞ্জের ময়লাকান্দায় পৌরসভার নিজস্ব ভূমিতে ময়লা ফেলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট গোলযোগে পৌরসভার গাড়ি ভাঙচুর ও গাড়িচালকসহ অনত্মত ৫ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী আহত হয়েছে। আহতরা হচ্ছেন, পৌরকর্মী সঞ্জীব হরিজন, রহিম, মুরাদ ড্রাইভার, রফিক ড্রাইভার ও আলী হোসেন এবং ময়লাবাহী ট্রাক-নং ২৫৩, ও ৫৭০৭-ম-৫ ও পাওয়াল ট্রলী-১৪ ভাংচুর করা হয়।
ময়লাকান্দায় স্থানীয় বাসিন্দারা গতকাল শুক্রবার ১৮ই সেপ্টেম্বর সকাল দশটায় উক্ত ময়লাকান্দায় ময়লা ফেলা যাবে না বলে এই দাবীতে পূর্ব ঘোষিত মানব্বন্ধন কর্মসূচি পালন করে। সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন চলাকালে ময়মনসিংহ-শেরপুর, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ ও হালুয়াঘাট সড়কের শতশত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে হাজার হাজার বাসযাত্রী চরম ভোগান্তির শিকার হয়। এদিকে মানববন্ধন শেষে পৌরসভার ময়লাবাহী গাড়ী ময়লা ফেলতে গেলে স্থানীয় জনগণ বাধা দেয়। এ সময় উপসি’ত উত্তেজিত জনতা পৌরসভা কর্মীদের সাথে বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত হয় এবং এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা পৌরসভার গাড়ী ভাংচুর করে ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মীদের বেধড়ক পেটায় এবং এতে ৫ জন আহত হয়। এই সংবাদ পেয়ে পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) শফিকুল ইসলাম, পৌর কর্মচারী সংসদের সভাপতি সারোয়ার আলম, কনজারভেটিভ সুপারভাইজার মোঃ মহব্বত আলী ঘটনাস’লে ছুটে যান।
সংশিস্নষ্ট এলাকার সূত্রে জানা যায়, এখানে ময়লার আবর্জনা না ফেলার জন্য বহুবার পৌর কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। এমনকি বিষয়টি জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও বলা হয়েছে। কিন’ সংশিস্নষ্ট কর্র্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন পদড়্গেপই গ্রহণ করেননি। এমন কি ময়লা আবর্জনা থেকে দূর্গন্ধ যাতে না ছড়ায় সে জন্য বেস্নসিং পাউডার দেওয়া বা রাসত্মার পার্শ্ববর্তী স্থান হতে দূরত্বে ময়লা ফেলার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। ফলে দীর্ঘদিনের দাবী পুরণ না হওয়ায় অতিষ্ট হয়ে এ উদ্ভূত পরিসি’তির সৃষ্টি হয়েছে। ময়লাকান্দার ভূমি সম্পর্কে পৌরসভার স্যানেটারী ইন্সপেক্টর দীপক মজুমদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানায়, ময়লাকান্দার এই তিন একর জায়গাটি ১৯৯০ সন থেকেই পৌরসভার নিজস্ব সম্পত্তি হিসেবে ময়লা আর্বজনা ফেলার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
ঘটনা সম্পর্কে পৌর সভার প্রধান নির্বাহী অফিসার এ.কে.এম তারিকুল আলম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- জনস্বার্থে ব্যবহৃত পৌরগাড়ী ভাংচুরের কারণে তিনি এর নিন্দা জানান এবং বলেন এ বিষয়ে মামলার প্রস’তি চলছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৯:৩০ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৫