| বিকাল ৩:২৭ - শুক্রবার - ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বাজিতপুরে ঈদ কে সামনে রেখে ব্যস্ত কামারপট্টি ব্যবসায়ীরা

 

মহিউদ্দিন লিটন, বাজিতপুর সংবাদদতাঃ- ১০ সেপ্টেম্বর,  ২০১৫, বৃহস্পতিবার, 
পবিত্র ঈদুল আযহা আসতে আর মাত্র ১৪ দিনবাকী। তার আগেই জমে উঠছে দা বটির বাজার, এই জন্য ব্যসত্ম সময় কাটাচ্ছেন বাজিতপুর উপজেলার বাজিতপুর বাজার কামার পট্টি, সরারচর কামার পট্টি, হিলচিয়া বাজারের দাসপাড়া, পিরিজপুরের কামার পট্টি সহ বিভিন্ন কামার পট্টির কারিগররা। ঈদের চাহিদা কথা বিবেচনা করে দা, চাকু, কুরাল সহ লেহার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাছেন তারা। দিনের পাশাপাশি গভীর রাতেও কামারিরা লেহার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যসত্ম সময় কাটাতে হচ্ছে। বছরের একবার এইসবের চাহিদা বেশি থাকে। ফলে এই সময়ে কামারিরা ভালো উপার্জন করে থাকেন। সরোজমিন খোজ নিয়ে দেখে গেছে বাজিতপুর পৌরসভার প্রায় ৭-৮টি দোকান সহ উপজেলার ৩০-৩৫ টি দোকান রয়েছে বিভিন্ন বাজারের কামার পট্টিতে। অধিকাংশ দোকানের মধ্যে কেহ ভাড়াটিয়া, কেহ বা নিজা বাড়িতে বংশানুক্রমে এই পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। লোকসান ভেবেও এই পেশা থেকে তারা ছাড়চেননা। তবে কিছু মৌসূমী ব্যবসায়ী রয়েছেন, যারা শধু ঈদ কে সামনে রেখে এই ব্যবসা করে থাকেন। ঈদুল আযহার সময় কর্মব্যসত্ম বেড়ে যায় বিভিন্ন কামার পট্টিতে। ঈদ মৌসূমে করবানির জন্য সবাই কামার পট্টি গিয়ে প্রচুর পরিমাণ দা, চাকু, বঠি, আর চাপাতির জোগান দিতে হয় এই কর্মকারদের। গতকাল বৃহস্পতিবার বাজিতপুর বাজারে কামার পট্টিতে গেলে রতন চন্দ্র দাস (৪০) সেন্টু দাস (৬০), সুভাষ চন্দ্র দাস (৪৫) তারা বলেন, কেহ বাব দাদার আমল থেকে এই ব্যবসা সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তারা কোন রকম ভাবে সংসার চালাচ্ছেন। তাদের দুঃখের কোন সীমা নেই। তবে ঈদ মৌসূমে আমাদের মূল টার্গেট বছরের কয়েকটা দিন ভালো টাকা উপার্জন করা। কিনত্মু গত বছর ঈদে কয়েক হাজার টাকা উপার্জন হলেও কারিগরদের বেতন দিয়ে খুব একটা দিন ভালো যাচ্ছেনা। কোরবানীকে কেন্দ্রে করে বেশি অর্ডার আসছে, চাপাতি, দা, বটি, চুরি, কোরাল সহ, কোরবানীর যন্ত্রপাতির কথা বললের সুভাষ চন্দ্র দাস। তিনি বলেন কাজের চাপ বেশি থাকলেও যন্ত্র তৈরী জ্বালানীর দাম অনেক বেশি। এক বসত্মার কয়লার দাম ২-৩শ টাকা। যা এক দিন ও যায়না, তিনি আরও বলেন ১কেজি লোহার দাম ২শত টাকা কিন’ কিন’ ১ কেজি লোহা থেকে ১টি দা বিক্রি করি ৩-৪শত টাকা। তারা সারাদিন আগুনের দারে বসে থেকে মাত্র দিন শেষে মাহিনা পান ৩-৪শত টাকা। যা যাদের পরিবারে সদস্য সংখ্যা বেশি তাদের সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। সরকার যদি তাদের স’ায়ী বরাদ্দের জন্য সাহায্য সহযোগিতা না করেন হয়তো বা একদিন তারাও এ পেশা অন্য পেশায় চলেযাবেন বলে উলেস্নখ করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:৩৭ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৫