| রাত ১১:১৬ - শুক্রবার - ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

অন্ধকার জগত থেকে আলোর পথে ওরা

রফিক বিশ্বাসঃ তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, শুৃক্রবার,

সাইফুল (৪৫), মোকলেছ (৫০), আব্দুর রশিদ (৪২), শহীদ (৪০) ভুট্ট ঋষি (৪০) ওরা চি‎হ্িনত মাদক ব্যবসায়ী। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়েরকৃত একাধিক মাদক মামলার আসামী। তাদের বাড়ী ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার রণকান্দা, মোকামিয়াকান্দা, তারাকান্দা ও খাটাসিয়া গ্রামে। দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক দ্রব্যের ব্যবসার সাথে জড়িত। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশি অভিযান ও মামলা মোকাদ্দমা অতিষ্ট হয়ে তারা এখন মাদক ব্যবসা ছেড়ে সভ্য জগতে ফিরে এসেছে এবং বিভিন্ন পেশায় জীবিকা নির্বাহ করছে। কেহ কেহ রিকশা চালিয়ে, কৃষি কাজ, সেলুন ও জুতা সেলাইয়ের ব্যবসা করছে। ওরা এখন অন্ধকার জগত থেকে আলোর পথে এগিয়ে যাচ্ছে। মোকামিয়া কান্দা গ্রামের মোখলেছুর রহমান বলেন, তিনি গাঁজা সেবন থেকে আসে- আসে- মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে ৫/৬টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি আরো বলেন, একদিকে সন্তানরা বড় হয়েছে, বন্ধু বান্ধবরা তাদেরকে লজ্জা দেয়। এছাড়া পুলিশি জুট ঝামেলা ও হয়রানীর কারনে অসৎ ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছি। আব্দুর রশিদ ওরফে ছুট্টু বলেন, স্থানীয় বখাটেদের ফাউ গাঁজা দিতে হয়। না দিলেই পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়। এছাড়া ৫/৬টি মামলার আসামী হয়েছি। আর মামলার আসামী হতে চাইনি, তাই মাদক ব্যবসা ছেড়ে এখন রিকশা চালাচ্ছি। প্রতিদিন ৪/৫শ টাকা আয় হয়। তা দিয়ে ভালো ভাবেই আমার সংসার চলছে। তারাকান্দা উত্তর বাজারের ঋষি পট্টির ভুট্টু ঋষি বলেন, পৈত্রিক পেশা হিসেবে চোলাই মদেও ব্যবসা করতাম। একাদিক মামলা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে সভ্য সমাজে সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করার জন্য চোলাই মদের ব্যবসা ছেড়ে সেলুন দিয়েছি। গোয়াতলা বাজারে আমার সেলুনে প্রতিদিন ৬/৭ শ টাকা আয় হয় তা দিয়ে সুন্দর ভাবে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভালো ভাবে দিন কাটছে। রণকান্দা গ্রামের সাইফুল বলেন, একাধিক মাদক মামলায় জেল খেটেছি। পুলিশ, আবকারীকে মাসোহারা দিয়েও রক্ষা পাওয়া যায়নি। মাঝে মাঝে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে মাদক দ্রব্য সহ আটক করে মামলা দেয়। এখন আর অন্ধকার জগত ভালো লাগে না তাই আমরা আলোর পথে এগিয়ে যাচ্ছি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৬:৪৪ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৫