ফুলবাড়িয়ায় শিক্ষকের কান্ড ঃ বেত্রাঘাতে ১৫ শিক্ষার্থী আহত
ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ২৯ আগস্ট ২০১৫, শনিবার:
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার শামছউদ্দিন আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো.নজরুল ইসলাম খান এর বেত্রাঘাতে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ১৫জন ছাত্র-ছাত্রী আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে দায়ী শিক্ষকের বিচার চেয়ে বিক্ষােভ করেছে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গ্রুপের ইংরেজি ২য় পত্রের ক্লাসে একটি পত্র লিখতে দেয়া হয়। সেই পত্রে সামান্য ভুলের কারণে অত্র ক্লাসের উপসি’ত ১৫জন শিড়্গার্থীকেই লাঠিপেটা করে আহত করেছেন। পরে আহত ছাত্র-ছাত্রীদের অফিসে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন অন্য শিক্ষকরা। শনিবার দুপুর ১২টায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবীতে অভিভাবকরা একত্রিত হলে কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করেন। ৬ষ্ঠ ছাত্র নাঈম জানান, ছোট হাতের অক্ষরকে কেন্দ্র করে নজরুল স্যার অমানবিকভাবে আমাদের পিটিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, তার সহোদর ভাই নজরুল ইসলাম খান সভাপতির যোগসাজসে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করে দিচ্ছে।
আলমিনের বাবা এমদাদুল হক জানিয়েছেন, মা মরা মেয়েকে নজরম্নল মাস্টার যেভাবে পিটিয়েছেন আমার পায়ের রক্ত মাথায় উঠে গিয়েছিল- আমি এসে পাই নাই তাকে। অভিযুক্ত শিক্ষক মো. নজরুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সহকারী শিক্ষক মো. হাসান আলী জানান, এ ঘটনায় আমরা অনুতপ্ত। স্কুল বন্ধ কি না এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।
ঐ দিন দায়িত্বে থাকা শিক্ষক মো. শহীদুলস্নাহ জানান, অনেক ছাত্র-ছাত্রীই আহত হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দিয়েছি। সরকারীভাবে মারার কোন বিধান নেই। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রিনা আক্তার খানম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
উলেস্নখ্য, বিভিন্ন অভিযোগের কারণে অত্র স্কুলের ১৫জন শিক্ষাক/শিক্ষিকার মধ্যে ৭ জনের বেতন ভাতাদি বন্ধ রেখেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ###