| বিকাল ৫:৫৮ - শুক্রবার - ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

শেরপুরে শিশু আরাফাতকে হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

 

শেরপুর সংবাদদাতা: , ১০ আগস্ট ২০১৫, সোমবার:
শেরপুরে অপহরণপূর্বক স্কুলছাত্র আরাফাত ইসলাম ওরফে রাহাতকে (৮) নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে শেরপুরের নাগরিক সংগঠন ‘জনউদ্যোগ। আজ ১০ আগস্ট সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যনত্ম জেলা শহরের নিউমার্কেট মোড় থেকে মাধবপুর শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তন পর্যনত্ম মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, পাতাবাহার খেলাঘর আসর, স্বেচ্ছাসেবী পরিবেশবাদী সংগঠন শাইন্‌, ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ), রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদসহ জেলা সদরের ৬২টি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন শিড়্গা প্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক শিড়্গক-শিড়্গার্থী অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ছানুয়ার হোসেন, পৌর মেয়র মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি রাজিয়া সামাদ, শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যড়্গ ড. এ.কে.এম রিয়াজুল হাসান, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মো. আব্দুর রাজ্জাক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. আনোয়ারম্নল হাসান, রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সভাপতি সঞ্চিতা হোড়, নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগের আহবায়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, নিহত আরাফাতের বাবা মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা স্কুলছাত্র আরাফাত হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, এ মামলার বিচার কার্যক্রম দ্রম্নত বিচার ট্রাইব্যুনালের পাশাপাশি দোষীদের সর্বোচ্চ শাসিত্ম মৃত্যুদন্ডের দাবি জানান বক্তারা।
এদিকে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারম্নল করিম আজ সোমবার দুপুরে বলেন, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামি আব্দুল লতিফ ও মো. ইমরানকে আজ বিকেলে শেরপুরের মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে সোপর্দ করা হবে।
উলেস্নখ্য, গত ২ আগস্ট রোববার বিকেলে শেরপুর জেলা শহরের শহীদ দারোগ আলী পৌর পার্ক এলাকা থেকে দুর্বৃত্তরা আরাফাতকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এক সপ্তাহ পর গত ৮ আগস্ট শনিবার দুপুরে পুলিশ শেরপুরের গারো পাহাড়ের বুরম্নঙ্গা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। আরাফাত শহরের বিপস্নব-লোপা মেমোরিয়াল স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র এবং গৃদানারায়ণপুর এলাকার মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে।
এ ঘটনায় নিহত আরাফাতের বাবা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ৪জনকে গ্রেপ্তার করে। এরা হলেন শেরপুর সদর উপজেলার বয়ড়াপরাণপুর গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে মো. আব্দুল লতিফ ও একই গ্রামের ফারম্নক মিয়ার ছেলে রবিন, চরশেরপুর ইউনিয়নের হেরম্নয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. আসলাম এবং নালিতাবাড়ীর নন্নী গ্রামের নজরম্নল ইসলামের ছেলে ইমরান। এদের মধ্যে লতিফ নিহত আরাফাতের খালু।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:৫৩ অপরাহ্ণ | আগস্ট ১০, ২০১৫