| রাত ৩:৪৭ - শুক্রবার - ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বাজিতপুরে ১৮ ঘন্টা বিদ্যুতের লোড-শেডিং, গ্রাহকের দুর্ভোগ চরমে

 

মহিউদ্দিন লিটন, বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ ৮ আগস্ট ২০১৫, শনিবার, 
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সদর সহ ১১টি ইউনিয়নে গত শুক্রবার ও  শনিবার সন্ধ্যা পর্যনত্ম দিনে এবং রাতে অন্তত ৫০-৬০ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা থাকলেও বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতির কারনে ১৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ লোড-শেডিং চলছে বলে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এই অসহনীয় বিদ্যুৎ লোড-শেডিংয়ের কারনে উপজেলার সরারচর ৪০-৫০টি রাইস-মেইল, বাজিতপুর সদরে ১০-১৫টি রাইস-মেইল, স-মেইল, বৃহৎ শিল্প কলখারখানা, ফ্রিজ, রেফ্রিজারেটর সহ অনত্মত কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। আজ  শনিবার বিকালে কয়েকজন বিদ্যুৎ গ্রাহকের সঙ্গে আলাপ করলে জানান, বর্তমানে বাজিতপুর উপজেলার জন্য ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বরাদ্দ রয়েছে। কিন’ রহস্য জনক কারনে বিদ্যুৎ বিভাগ বাজিতপুর শহরের ভাগলপুর ও সরারচর ইউনিয়নে বিদ্যুৎ দিলেও উপজেলার দুই-তৃতীয়াংশ অজ্ঞাত কারনে লোড-শেডিংয়ের আওতায় রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, কৈলাগ, শিয়ালদিপাড় সহ কয়েকটি স্থানে বিদ্যুৎ বিভাগ শত শত ষ্টীলবডি নৌকার মধ্যে অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে সরকারী লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সরকার এসব টাকা থেকে রেভেনিউ পাওয়ার কথা থাকলেও অসাধু কর্মচারীদের পকেটে যাচ্ছে বিশাল অঙ্কের টাকা। আর বিদ্যুৎ বিভাগ প্রভাবশালীদের অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন দিচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। অথচ সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মিটার বিদ্যুৎ বিভাগ মিটার না দেখে অফিসে বসে মনগড়া বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে। যা বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ব্যবহ্নত বিদ্যুৎ বিলের চেয়ে কয়েক গুন বেশি বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে কয়েক বছর ধরে। অনেক বিদ্যুৎ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিল দিতে গিয়ে সবস্ব হারিয়েছে। এ বিষয়ে কর্তৃপড়্গের কোন মাথা ব্যাথা নেই। বাজিতপুর বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আজিজুর রহমান জানান, নতুন লাইন সংস্কারের কারনে বিদ্যুৎের ত্রম্নটি হচ্ছে বলে উলেস্নখ করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:২২ অপরাহ্ণ | আগস্ট ০৮, ২০১৫