ঈশ্বরগঞ্জে ছেলের হুকুমে পিতাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা
ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি,৬ আগস্ট ২০১৫, বৃহস্পতিবার: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের রাজীবপুর ইউনিয়নের ভাটিরচরনওপাড়া গ্রামে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় খুনী আপন মিয়াকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এবং মামলা থেকে বাঁচতে বৃদ্ধ বাবাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করিয়েছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে ধৃত আসামী আপন মিয়া। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তারের পর গতকাল বৃহস্পতিবার দূপুরে ময়মনসিংহের আদালতে পাঠানো হয়। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, বুধবার সন্ধ্যায় বৃদ্ধ ছফির উদ্দিনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের উজানচর গ্রাম থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে নান্দাইল উপজেলার চরলক্ষীদিয়া গ্রামের আপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। রাতে থানা হাজতে নিয়ে আসার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার পরিকল্পনা সহ হত্যা সংশ্লীষ্ট ৮/১০ জনের নামও প্রকাশ করে আপন মিয়া। এবিষয়ে গতকাল বৃহষ্পতিবার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। উল্লেখ্য যে, ২৫ জুলাই শনিবার রাতে ছফির উদ্দিন ভান্ডারী (৮৫) কে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা ঘটলে পরদিন রোববার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামী করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ও এলাকাবাসীর জবানবন্দীতে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ৪ জুলাই প্রতিবেশী আব্দুল্লাহকে নিজ বাড়িতে কুপিয়ে হত্যা করে মুনসুর ফকিরের লোকজন। বিষয়টি নিয়ে নিহতের ছেলে বাদি হয়ে থানায় ৩২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলার প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এবং মামলা থেকে বাঁচতে বৃদ্ধ বাবাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করিয়েছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে ধৃত আসামী আপন মিয়া। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন দৈনিক লোক লোকান্তরকে জানান, গ্রেপ্তারকৃত আপন মিয়ার নামে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। মুনছুর ফকিরের নেতৃত্বে ধৃত আসামী সহ আরো বেশকয়েকজন মিলে ছফির উদ্দিনকে আগুনে পরিয়ে হত্যা করেছে বলে জবানবন্দী দিয়েছে আপন মিয়া। তার জবাববন্দী মোতাবেক অন্যান্য আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।