| রাত ৯:৪৮ - শনিবার - ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গৌরীপুরে ধানের চারা রোপনে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্র ব্যবহারে কৃষকের খরচ বাঁচাবে ১০গুন

সাজ্জাতুল ইসলাম সাজ্জাত,২৯ জুলাই ২০১৫, বুধবার,
সেচযন্ত্র, লাঙ্গলের বদলে ট্রাক্টর, হুইটার, গুটি মেশিন, মাড়াই কল, বিষ প্রয়োগ যন্ত্রসহ অসংখ্য নূতন প্রযুক্তি কৃষি ও কৃষকের জীবনযাত্রা বদলে দিয়েছে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় বাড়ছে কৃষির ফলন। স্বল্প সময়ে অল্প খরচে ধানের চারা রোপনে এসেছে নূতন যন্ত্র রাইস ট্রান্সপ্লান্টার। চারা রোপনে খরচ বাঁচবে ১০গুন। হাজারো উৎসুক কৃষকের মাঝে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামজীবনপুর, নিজামাবাদ, কোনাপাড়া বস্নকে প্রদর্শিত হলো এ যন্ত্র। শ্রমিক সংকট মোকাবিলায় উৎপাদনে খরচ সংকোচিত করতে এ যন্ত্রের ব্যবহার বাড়বে বলে জানান কৃষক মোঃ হাফিজ উদ্দিন।
মেশিনে ধানের চারা রোপনের দৃশ্য দেখতে গৃহবধূরাও জমির পাশে ছুটে আসেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান সিরাজ জানান, রাইস ট্রান্সপস্নান্টারও কৃষকের নূতন দিগনত্ম উন্মোচন করবে। কৃষি কাজে শ্রমিকের ব্যয়টা কমে যাবে।
ট্রান্সপস্নান্টারে জ্বালানি হিসেবে প্রতি ঘন্টায় আধা লিটার পেট্টোল লাগে। ব্যয় মাত্র ৫০টাকা। এ সময়ের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে চারা রোপণ করা যায়। যেখানে পূর্বে ব্যয় হতো প্রায় ১১শ টাকা। সময় বাঁচবে, বাড়বে উৎপাদন। কেননা এ যন্ত্রের সাহায্যে নির্ধারিত মাত্রায় চারা রোপন সম্ভব। উপজেলা উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা ভোলানাথ সরকার জানান, এ যন্ত্রে একটি চারা থেকে অন্য চারার দূরত্ব ১১ সেন্টিমিটার থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যনত্ম নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কাজ শেষে মেশিন ধোয়ার জন্যও কৃষকের ঝামেলা পোহাতে হবে না। এই মেশিনের রড়্গিত পানির স্বয়ংক্রিয় পাম্প দিয়ে সহজে ধোয়া যাবে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার ও নুরম্নন্নাহার বেলী জানান, ট্রের মধ্যে বীজতলা তৈরী করার জন্য প্রথমে কাগজ বিছাতে হবে। এরপর ট্রের অর্ধেক উচ্চতা পর্যনত্ম চালনি দিয়ে চেলে সমতলভাবে মাটির গুঁড়া দিতে হবে। প্রতিদিন পানি ছিটিয়ে সেচের ব্যবস’া করতে হবে। চারার রং হলুদ হয়ে গেলে পানিতে অল্প পরিমাণ ইউরিয়া মিশিয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে এবং পরে পরিস্কার করতে হবে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এজিএম গোলাম মোসত্মফা ও হাবিবুল ইসলাম জানান, প্রতি বিঘার জন্য ২০ থেকে ২২টি ট্রে তৈরি করতে হয়। ট্রে না থাকলেও পলিথিন বিছিয়েও বীজতলা তৈরি করা যায়। প্রতি রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের দাম প্রায় ১লাখ ৭০হাজার টাকা। কৃষি বিভাগের যান্ত্রীকীকরণে প্রকল্পের অধিনে আগ্রহী কৃষকদের ৩০% ছাড়ে প্রদানও শুরম্ন হয়েছে।
বুধবার (২৯ জুলাই) উপজেলার মিরিকপুরে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ব্রিধান-৫২ রোপন প্রদশর্নীর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি হিসাবে জেলা প্রশিড়্গণ অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান। কৃষক মোঃ হাফিজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান সিরাজ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এজিএম গোলাম মোসত্মফা, মোহাম্মদ আলী, হাবিবুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, নুরম্নন্নাহার বেলী প্রমুখ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৬:৪১ অপরাহ্ণ | জুলাই ২৯, ২০১৫