| বিকাল ৫:২০ - শুক্রবার - ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গফরগাঁওয়ে নৌকা ডুবে নিখোঁজ তিন যাত্রীর মধ্যে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

গফরগাঁও প্রতিনিধি,২৬ জুলাই ২০১৫, রবিবার: 
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে গত শনিবার সকালে ব্রহ্মপুত্র নদের পাঁচবাগ ইউনিয়নের গলাকাটা বাজার খেয়াঘাটে শিক্ষার্থীসহ অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকা ডুবির ঘটনায় গৃহবধূসহ দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজের একদিন পর আজ রোববার সকালে  ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামানের (১৫) মরদেহ ঘটনাস’লের এক কিলোমিটার ভাটি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।  সে হোসেনপুরের চরকাটিহারি গ্রামের দুবাই  প্রবাসী আশরাফুল আলম পরাণের ছেলে।  এখনো নিখোঁজ রয়েছে সালটিয়া গ্রামের শওকতের স্ত্রী শিউলি আকাতার ও নাক কাটাচর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মুন্নি আক্তার। নিখোঁজ দুজনের লাশ উদ্ধারে স’ানীয় এলাকাবাসী ও জেলেরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগে গত শনিবার দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যত্ম ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের রেসকিউ টিম ঘটনাস’লের তিন কিলোমিটার এলাকা পর্যত্ম সন্ধান চালিয়ে নিখোঁজদের মহরদেহ না পেয়ে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষনা করে।
এদিকে নৌকা ডুবির ঘটনা তদন্তে উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন বাদলকে প্রধান করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু ও চরআগলী ইউপি চেয়ারম্যান এস এস মাইন উদ্দিনকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদনত্ম কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন স’ানীয় এমপি ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল।
প্রসঙ্গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে অন্যান্য দিনের মতো গফরগাঁওয়ের নাককাটা চর ও হোসেনপুরের চরকাটিহারি গ্রাম থেকে চরশাখচূড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মাঝ নদে খেয়া পারাপারের নৌকা ডুবে যায়।
নিহত মনিরুজ্জামানের বাবা আশরাফুল আলমের অভিযোগ খেয়াঘাটের ইজারাদার যাত্রী পারাপারে ছোট্ট ডিঙ্গি নৌকা ব্যবহার করায় আমার ছেলেকে লাশ হতে হলো।
স’ানীয় এমপি তদত্ম কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু বলেন, এ ব্যাপারে আমি অবগত নই।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:৫৬ অপরাহ্ণ | জুলাই ২৬, ২০১৫