ফুলপুরে কিশোরীর অবৈধ সন্তান প্রসব : শিক্ষকসহ গ্রেফতার ২
ফুলপুর (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা,২২ জুলাই ২০১৫, বুধবার:
ফুলপুর উপজেলার পয়ারী ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামে রোববার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক কিশোরী ছাত্রীর অবৈধ সন্তান প্রসবের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ কিশোরীর প্রাইভেট শিক্ষকসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছেন।
জানা যায়, পয়ারী ইউনিয়নের চর সাহাপুর গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রী (১২) পৌরসভার সাহাপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের (৭০) কাছে প্রাইভেট পড়ত। রোববার দুপুরে ওই ছাত্রী নিজ গৃহে অবৈধ মেয়ে সন্তান প্রসব করে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চ্যল্যের সৃষ্টি হয়। লোকজন দেখতে বাড়িতে এসে ভিড় করে। পরদিন শিশু অসুস্থ্য হয়ে গেলে চিকিৎসার জন্য ফুলপুর হাসপতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে কিশোরী কাকলী আক্তার লোকজনকে জানায়, সে তৃতীয় শ্রেণী থেকে মোসলেম উদ্দিনের কাছে প্রাইভেট পড়ে আসছিল। দু’বছর আগে থেকে শিক্ষক মোসলেম উদ্দিন ওই ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। বিষয়টি তার সাথে প্রাইভেট পড়তে আসা একই গ্রামের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র পরিমল চন্দ্র জোয়ারদারের পুত্র সুজন জোয়ারদার টের পায়। ঘটনা ধামাচাপা দিতে মোসলেম উদ্দিন ওই ছাত্রীর সাথে সুজনকে অবৈধ মেলামেশার সুযোগ করে দেয়। এক পর্যায়ে কাকলী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এরপর থেকে ছাত্র-শিক্ষক উভয়ের সাথেই তার অবৈধ মেলামেশা চলে আসছিল। সন্তান প্রসবের খবর পেয়ে পুলিশ সাহাপুর বাজার থেকে শিক্ষক মোসলেম উদ্দিন ও ছাত্র সুজন জোয়ারদারকে গ্রেফতার করে পরদিন কোর্ট হাজতে পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে ফুলপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই ছাত্রীর মা বলেন, প্রাইভেট শিক্ষক বিশ্বাস ভঙ্গ করে আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। তার দাদি রহিমা বলেন, সন্তান প্রসবের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি আমরা টের পাইনি। সে মোসলেমের কাছে প্রাইভেট পড়তে যেতে চাইতনা। আর না গেলেই মোসলেম এসে তার বই খাতা নিয়ে আটক রেখে যেতে বাধ্য করত। ফুলপুর থানার থানার অফিসার ইনচার্জ মাজহারুল হক বলেন ডিএনএ টেষ্টের মাধ্যমে পিতা সনাক্ত করা হবে।