| বিকাল ৩:২৭ - সোমবার - ২৫শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১১ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৪ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

আজ চীনে আঘাত হানতে পারে সুপার টাইফুন, ৮ লাখ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে

অনলাইন ডেস্ক, ১১ জুলাই ২০১৫, শনিবার:

চীনের পূর্বাঞ্চলে আজ দিনের শেষ ভাগে শক্তিশালী টাইফুন ‘চ্যান-হোম’ আঘাত হানতে পারে। গতকালই উপকূলীয় অঞ্চলসমূহে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়। এর আগে এক পূর্বাভাসে গতকাল রাত বা আজ সকালের দিকে টাইফুনটির আঘাত হানার কথা বললেও, এখন মনে করা হচ্ছে দিনের শেষ ভাগে বা রাতে এটি আঘাত হানবে। উপকূলীয় অঞ্চলসমূহ থেকে ৮ লক্ষাধিক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। উপকূলীয় ঝেজিয়াং ও ফুজিয়ান প্রদেশের মধ্যবর্তী স্থানে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চীনের বৃহত্তম শহর সাংহাইসহ পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে প্রবল বেগে আছড়ে পড়বে এ ঘূর্ণিঝড়টি। ঝড়ের সঙ্গে দমকা হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৮৭ কিলোমিটার বা ১১৬ মাইল পর্যন্ত। প্রায় ৪০০ বিমানের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। সতর্কবার্তায় বলা হচ্ছে, ১৯৪৯ সালের পর ওই অঞ্চলেলল সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক হতে পারে ঘূর্ণিঝড় চ্যান হোম। বন্দর-নগরী নিংবোর কাছে ঝেজিয়াং প্রদেশে আঘাত হানবে এটি। এরপর সাংহাইতে চলবে এর তা-ব। সাংহাইয়ে প্রবল বাতাস ও ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। রেড অ্যালার্ট জারি করে মাছ ধরার ২৯,০০০ বোটকে তীরে ভেড়াতে সক্ষম হয়েছে উপকূলীয় কর্তৃপক্ষ। সমুদ্রে ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস বা ঢেউ আছড়ে পড়ছে। শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে সুপার টাইফুনটির অবস্থান ঝেজিয়াং প্রদেশের উপকূলের ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে শনাক্ত করা হয়। এদিকে অব্যাহত ভারি বর্ষণে এরই মধ্যে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উপকূলীয় অঞ্চলগুলো। এ সপ্তাহের প্রথম দিকে ঝড়টি ফিলিপাইনে আঘাত হানে। সেখানে ৫ জনের মৃত্যু হয়। তাইওয়ান ও জাপানেও ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে এবং কয়েকজন আহত হন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১:২৯ অপরাহ্ণ | জুলাই ১১, ২০১৫