| সন্ধ্যা ৬:১৮ - শুক্রবার - ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

যাকাত ট্র্যাজেডি পদদলিত হয়ে ২৭ নারীর মৃত্যু ॥ মালিকসহ আটক-৮, স্তদ্ধ ময়মনসিংহবাসী

মতিউল আলম, ১০ জুলাই, ২০১৫, শুক্রবার, 
ভোর তখন ৫টা। সেহরী খেয়ে ফজরের নামাজ পড়ে শহরের মানুষ ঘুমাচ্ছিল। নীরব নিস-দ্ধ শহরের গরীব অসহায় অবলা বৃদ্ধ নারী ও পুরুষ শেষ রাতের ঘুম ভেঙ্গে ছুটে গিয়ে ছিল ময়মনসিংহ পৌরসভা কার্য্যালয়ের সন্নিকটে অতুল চক্রবর্তী রোডে। হঠাৎ নীরবতা ভেঙ্গে চিৎকার আর কান্নার রোল শোনা গেল। আশপাশের মানুষ ছুটে গেল ঘটনাস’লে। ইতোমধ্যেই প্রাণ চলে গেছে অনেকের। শুধুমাত্র জাকাতের একটি নতুন কাপড়ের আশায় মানুষগলো হতাহত পড়ে আছে নুরানী জর্দা ফ্যাক্টরীর সামনে। দ্রুত শহরে খবর ছড়িয়ে পড়লে হতাহতের স্বজনসহ শতশত মানুষ ছুটে আসে ঘটনাস’লে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ২ শিশু ১৫ জন মহিলার লাশ। নিহতদের স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারী উঠে। এমন ট্র্যাজেডিতে স্তব্ধ হয়ে পড়ে ময়মনসিংহবাসী। Mymensingh Pic
সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে জানা যায় যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে শিশু ও নারীসহ অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত অর্ধশত। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশংকাজনক। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। আহত অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে যে যার মতো বাড়ি চলে গেছে। শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে ময়মনসিংহ শহরের অতুল চক্রবর্তী রোডের নূরানী জর্দা কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জর্দা ফ্যাক্টরীর মালিক মোহাম্মদ শামীম ও তার পূত্রসহ ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন ৩ সদস্য বিশিষ্ট ২ টি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। যা আগামী ৩ কার্যদিবসে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ অতিরিক্ত ডিআইজি শফিকুল ইসলামকে প্রধান করে পিবিআই এর পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল ও সিকিউরিটি সেলের একজন পুলিশ সুপারকে সদস্য করে ৩ সদস্য্য বিশিস্ট তদন- কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে জেলা প্রশাসক মুস-াকীম বিল্লাহ ফারুকী জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্টেট মল্লিকা খাতুনকে প্রধান করে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা একে ফয়জুল হক ও এনডিসি তৌহিদুল ইসলামকে সদস্য করে ৩ সদস্য বিশিস্ট তদন- কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহতদের প্রত্যক পরিবারকে ১০ হা্‌জার টাকা করে অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মঈনূল হক জানান, শুক্রবার ভোরে নূরানী জর্দা ফ্যাক্টরীর মালিক মোহাম্মদ শামীম নূরানী জর্দা ফ্যাক্টরিতে যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে পদপদলিত হয়ে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৩ শিশু ২৪ মহিলা । আহত হয়েছে অন্তত অর্ধশত লোক। উপসি’ত লোকের তুলনায় জায়গা কম হওয়ায় এ ধরনের দূর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। তার পরও ঘটনার তদন- করে পরবর্তী ব্যবস’া নেয়া হবে। কোতোয়ালী মডেল থানার এএসপি রশিদ এপর্যন- ২ শিশু সহ ২৪ নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।-Mymensing_Jagakat --1-
পদপদলিত হয়ে নিহতরা হলেন- হালিমা বেগম (৪৫) স্বামী হায়দর আলী আকুয়া, নাজমা বেগম (৫০) স্বামী জালাল উদ্দিন, আকুয়া মোড়লপাড়া, ফাতেমা(৬০) স্বামী আঃ ছালাম আকুয়া মোড়লপাড়া, জোহরা খাতুন(৫৫) স্বামী ইসমাইল, সাং আকুয়া মোড়লপাড়া, রেজিয়া আক্তার (৪০) স্বামী আঃ মজিদ, সাং গাঠগোলা বাজার, ফাতেমা বেগম (৪২) স্বামী রবি হোসেন, আকুয়া দক্ষিণ পাড়া, সুফিয়া বেগম (৬০) স্বামী লাল মিয়া সাং চর ঈশ্বরদিয়া, খোদেজা বেগম(৫৫), স্বামী আঃ সালেক থানাঘাট বালুর চর, সিদ্দিক (১২) পিতা সিরাজুল ইসলাম থানাঘাট বালুর চর, লামিয়া (৫) পিতা কৃষ্ণা মিয়া থানাঘাট বালুর চর, সখিনা (৪০) স্বামী কৃষ্ণা মিয়া, থানাঘাট বালুর চর, সামু বেগম (৬০), স্বামী আব্দুল বারেক, থানাঘাট বালুর চর, ফজিলা বেগম (৭৫) স্বামী মাহতাব উদ্দিন কাচারী ঘাট, হাজেরা বেগম (৭০) স্বামী লালু মিয়া, পাটগুদাম বিহারী ক্যাম্প, রুবিয়া আক্তার (১২) পিতা- রতন মিয়া, ঢোলাদিয়া, রহিমা বেগম (৫৫) স্বামী শামসুল হক, আকুয়া দরগা পাড়া, আঙ্গুরী বেগম (৩৫) স্বামী শফিকুল ইসলাম, কালিবাড়ি গোদারাঘাট, সাহারন বেগম (৪০) স্বামী আরজু মিয়া সাং- বালিপাড়া, ত্রিশাল, মেঘনা বসাক(৪০), বসাক পট্রি, রুপালী (৪০) অতুলচক্রবর্তী রোড, সুধারণী সরকার ( ৫৫) ধোপাখোলা ময়মনসিংহ শহর। ইতি (১২) হরিকান্দা জামালপুর, বৃষ্টি (১১) পিতা কবির হোসেন ও খোদেজো বেগম (৫০) স্বামী হরমুজ আলী, আকুয়া । এ ছাড়াও অজ্ঞাত আরো ১ জন মহিলা। নিহতদের মধ্যে শহরের থানাঘাট ব্রহ্মপূত্র নদের তীরে অবসি’ত বাস-হারা ক্যাম্পের একই পরিবারের শামিমা বেগম (৬০), তার মেয়ে সখিনা(৩৫) ও নাতি লামিয়া (৬) রয়েছে।

থানা পুলিশ ও পোস্টমের্টেমের ভয়ে পদপদলিত মৃত্যুর পর নিহতদের লাশ ঘটনাস’ল থেকে এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গেইট থেকেই ময়না তদন- ছাড়াই তাদের স্বজনরা বাড়িতে নিয়ে গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। এ ঘটনায় অর্ধশত আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে হেনা (৫৪) ময়না (৭০) ও রাসেলসহ (২৫) ৩জনের অবস’া আশঙ্কাজনক।
ঘটনার পর পরই পুলিশ নূরানী জর্দা ফ্যাক্টরির মালিকসহ ৮জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন, মালিক মোহাম্মদ শামীম (৬৫) ও তার পূত্র হেদায়েত (৩০), ফ্যাক্টরির ম্যানেজার ইকবাল হোসেন (৩৫), ইকবাল (৪০), আরমান হোসেন (৩৫), আলমগীর হোসেন (৩৪), আরশাদুল ইসলাম (৩২), ড্রাইভার পারভেজ (৩৫) ও কর্মচারী আঃ হামিদ (৩৬)।
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, নূরানী জর্দা ফ্যাক্টরিতে পদদলিত মৃত এ পর্যন- ১৭ জনের লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাশ ঘরে রাখা হয়েছে। ময়না তদন- শেষে মৃত ব্যক্তিদের স্বজনদের কাছে লাশ হস-ান-র করা হবে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মুস-াকীম বিল্লাহ ফারুকী, পুলিশ সুপার মইনুল হক দুর্ঘটনাস’ল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।
গ্রেফতারকৃত জর্দা ফ্যাক্টরীর মালিক শামীম জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ৬০০জনকে জাকাতের কাপড় দেয়ার জন্য কার্ড প্রদান করা হয়ে ছিল। তিনি এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা দুঃখ প্রকাশ করে জানান, এর আগে এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শী থানাঘাট এলাকার কৃষ্ণা মিয়ার ছেলে ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র শরিয়তুল সুপ্ত জানায়, সে তার নানী, মা ও বোন নিয়ে ভোর চারটার দিকে জাকাতের কাপড়ের জন্য নুরানী জর্দা ফ্যাক্টরীতে যায়। এ সময় অনেক লোক ফ্যাক্টরী গেইটের সামনে ভীড় করছিল। ফ্যাক্টরী গেইটটি ছিল হালকা ও দুর্বল। ভিতর থেকে বাশঁ দিয়ে ঠেকা দিয়ে রাখছিল। জাকাত প্রত্যাশীরা গেইট খোলার জন্য ধাক্কা দিলে ফ্যাক্টরীর লোকজন গেইট খুলেনি। এমতাবস’ায় শতশত মানুষের ধাক্কাধাক্কিতে এক সময় গেইট ভেঙ্গে যায়। এরপর হুড়াহুড়ি করে ফ্যাক্টরীতে প্রবেশের সময় পায়ের নীচে চাপা পরে অনেক লোক মারা যায়। সে কোন মতে বেঁচে গিয়ে ফ্যাক্টরী সিড়িতে দাড়িয়ে তার মা, নানী ও বোনকে খুজতে থাকে। খোঁজাখোজির পর তার নানী, মা ও বোনের লাশ দেখতে পায়।
প্রত্যক্ষদশীরা জানান, ভোরে গেইট খোলার সাথে সাথে শতশত জাকাত প্রত্যাশীরা হুমকি খেয়ে পড়ে পদদলিত হয়ে মারা যায়।
প্রত্যক্ষদশী এক মহিলা জানান, ‘গেটের সামনে অনেক লোক বইসা ছিল। ভোরে গেটের সামনে অনেক লোক পিড়াপিড়ি শুরু করে। কিন’ কেউ গেট খুলে না। শামীম সাহেব ফজরের নামাজে যাওয়ার সময় ছোট গেটটা একটু খুলে। ঝামেলা হয় ওই সময়ই। তারা অভিযোগ করেন, বাড়ির মালিক শামীম ছোট গেটের বদলে বড় গেট খুলে দিলে এ ঘটনা ঘটতো না। এতজন মানুষেরও প্রাণ যেত না।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ভ্যানচালক দুলাল মিয়া জানান, প্রায় কয়েক হাজার নারী-পুরুষ ভিড় করেছিলেন জাকাতের কাপড়ের জন্য। গেট খুলতেই হুড়োহুড়ি করে ভেতরে ঢোকার সময়ই কমপক্ষে শতাধিক মানুষ পদপিষ্ট হন।
স’ানীয় সূত্র জানায়, জাকাতের কাপড় দেওয়ার জন্য ছয়দিন ধরে কার্ড বিলি করে কারখানার মালিক শামীমের লোকজন। শহরের দুলদুল ক্যাম্প, বিহারি ক্যাম্প ও থানাঘাটসহ শহরের বিভিন্ন বসি-র গরিব ও দুস’দের মাঝে এ কার্ড বিতরণ করা হয়। জাকাতের কাপড় বিতরণের জন্য কারখানা ও বাসার সামনে শুক্রবার দিন ধার্য করা হয়।

কিন’ জাকাত দেওয়ার এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই নূরানী জর্দা ফ্যাক্টরির গেট ও সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েক শ’ দুস’ নারী-পুরুষ অবস’ান নেন। মুক্তাগাছা, ঈশ্বরগঞ্জ, তারাকান্দাসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে দরিদ্ররা ভিড় করেন কারখানার সামনে। সেহরির পর আরও হাজার খানেক লোক জড়ো হয় সেখানে।

প্রত্যক্ষদর্শী, নিহতের স্বজন ও আহতরা জানান, হঠাৎ করে ভোর ৫টার দিকে খুলে দেওয়া হয় কারখানায় প্রবেশের ছোট গেটটি। গেটের সামনে বসেছিলেন কমপক্ষে ৩ থেকে সাড়ে ৪’শ মানুষ। বেশিরভাগই ছিলেন বৃদ্ধ নারী ও শিশু। আর তাদের পেছনে ছিলেন হাজারেরও অধিক মানুষ।

স’ানীয়দের মতে, ঘটা করে প্রতি বছরই জাকাত দেন নূরানী জর্দা ফ্যাক্টরির মালিক। কিন’ এক্ষেত্রে তার অবশ্যই সচেতন হওয়া দরকার ছিল। বিশেষ করে যখন কাডের্র বিপরীতে আরও কয়েক হাজার দুস’ ও গরিব মানুষের উপসি’তি হয়, তখন অবশ্যই প্রশাসন বা স’ানীয় জনপ্রতিনিধিদের জাকাত বিতরণে সাহায্য নেওয়া দরকার ছিল কের। ন্যূনতম নিরাপত্তা ব্যবস’া না থাকা ও তাদের এ উদাসীনতার কারণেই এত মানুষের মৃত্যু হলো।
জানতে চাইলে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোস-াকিম বিল্লাহ ফারুকী বলেন, কারখানার মালিক শামীমের অসচেতনতাই এ ট্র্যাজেডি’র অন্যতম প্রধান কারণ। আমরা জানতে পেরেছি তিনি যদি ছোট গেটের বদলে বড় গেটটি খুলে দিতেন তবে অনাকাঙ্‌ক্িষত এ ঘটনা ঘটতো না।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, কার্ড বিলি করে জাকাত দেওয়ার এ খবর পুলিশ প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধিদের জানাননি মালিক। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস’া নেওয়া হবে। এদিকে বৃষ্টির কারণে নিহতদের লাশ দাফন কাফন নিয়ে বিপাকে পড়েন স্বজনরা।

২৭জনের মৃত্যুতে
এফবিসিসিআই এর পরিচালক আমিনুল হক শামীম গভীর শোক
ময়মনসিংহে জাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে ২৭জনের মৃত্যুতে এফবিসিসিআই এর পরিচালক ও দৈনিক আলোকিত ময়মনসিংহ পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি আলহাজ্ব মো: আমিনুল হক শামীম গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। শোক বিবৃতিতে তিনি বলেন, অনাকাংক্ষিত এ ঘটনায় অকালে ২৭ জনের মৃত্যুতে আমি গভীর ভাবে শোকাহত। আমি পরম করুনাময় এর কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন তাদের আত্নার শানি- দেন ও বেহেস- নসিব করেন।

ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র ইকরামুল হক টিটু‘র শোক

ময়মনসিংহে জাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে ২৭জনের মৃত্যুতে ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। শোক বিবৃতিতে তিনি বলেন, অনাকাংক্ষিত এ ঘটনায় অকালে ২৭ জনের মৃত্যুতে আমি গভীর ভাবে শোকাহত। আমি পরম করুনাময় এর কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন তাদের আত্নার শানি- দেন ও বেহেস- নসিব করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৯:৪৯ অপরাহ্ণ | জুলাই ১০, ২০১৫