| সকাল ৮:৪৫ - শনিবার - ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সৈয়দ আশরাফকে অব্যাহতি, কিশোরগঞ্জে ক্ষোভ হতাশা, পুনর্বহালের দাবি

সিম্মী আহাম্মেদ, কিশোরগঞ্জ, ৯ জুলাই ২০১৫, বৃহস্পতিবার:
এলজিআরডি মন্ত্রণালয় থেকে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে অব্যাহতি দেয়ার খবরে কিশোরগঞ্জে দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বসত্মরের মানুষের মাঝে ড়্গোভ ও হতাশা নেমে এসেছে। দলমত নির্বিশেষে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ এ নিয়ে তাদের ড়্গুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। পরিচ্ছন্ন ও ত্যাগী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত সৈয়দ আশরাফ ষড়যন্ত্রের কাছে পরাজিত হয়েছেন, এমন মনত্মব্যও করেছেন কেউ কেউ।
জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও স’ানীয় দৈনিক শতাব্দীর কণ্ঠের সম্পাদক আহমেদ উলস্নাহ বলেন, এমন খবরে কিশোরগঞ্জবাসী হতাশ। এর ফলে জেলায় দলীয় রাজনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। এছাড়া চলমান উন্নয়ন কর্মকা-গুলোও হুমকির মুখে পড়বে।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আতাউর রহমান বলেন, উনার মতো একজন সৎ রাজনীতিবিদকে অব্যাহতি দেয়ায় কিশোরগঞ্জবাসী হতাশ ও মর্মাহত। এই সিদ্ধানেত্মর ফলে জেলার উন্নয়ন কর্মকা- নিয়েও কিশোরগঞ্জবাসী শঙ্কিত।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শরীফ আহমদ সাদী বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নিরেট একজন ভালো মানুষ। ব্যতিক্রমী কিছু গুণের অধিকারী। তার মন্ত্রীপরিষদে না থাকার খবর কিশোরগঞ্জবাসীর জন্য একটি বিরাট দুঃসংবাদ।
হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আয়ুব আলী বলেন, আমরা ড়্গুব্ধ ও হতাশ। এতে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ড়্গতিগ্রস’ হবে।
কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি বাদল রহমান বলেন, দলের দুঃসময় ও ক্রানিত্মলগ্নে সৈয়দ আশরাফ সব সময়ে অনন্যসাধারণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। তার পিতা জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরম্নল ইসলাম শত প্রলোভনেও মাথা নত করেননি। নিজের জীবন দিয়ে আমৃত্যু বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিশ্বস’ থেকেছেন। সেই গর্বিত রক্তের উত্তরাধিকার সৈয়দ আশরাফও দলের এক পরীড়্গিত বন্ধু। তাকে এভাবে অব্যাহতি দেয়া মোটেও সমীচীন হয়নি। কিশোরগঞ্জের ব্যবসায়ী সমাজের পড়্গ থেকে আমরা তার পুনর্বহাল দাবি করছি।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে সৈয়দ নজরম্নল ইসলাম দেশের হাল ধরেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় আজকের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন কারাবন্দী, তখন সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও দলের হাল ধরে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্ত করেন এবং নেতৃত্বের আসনে ফিরিয়ে আনেন। তাই কেন তাকে অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে, সেটি আমাদের বোধগম্য নয়। আমাদের প্রত্যাশা, দল ও দেশের স্বার্থে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে পুনর্বহাল করা হোক। আর এটিই কিশোরগঞ্জবাসীর দাবি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৯:৪৪ অপরাহ্ণ | জুলাই ০৯, ২০১৫