মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত নিকলীর মোসলেম প্রধান গ্রেফতার
সিম্মী আহাম্মেদ, কিশোরগঞ্জ ●৭ জুলাই ২০১৫, মঙ্গলবার:
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কিশোরগঞ্জের নিকলীর মোহাম্মদ মোসলেম প্রধান (৬৬) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার গভীর রাতে উপজেলার কামারহাটি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে নিকলী থানা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তাকে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার হাজতে এনে রাখার পর বিকালে মাইক্রোবাসে কড়া পুলিশ প্রহরায় ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গতকাল মঙ্গলবারই আনত্মর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ নিকলীর থানার রাজাকার কমান্ডার সৈয়দ মো. হুসাইন ও তার সহযোগী মোহাম্মদ মোসলেম প্রধানের বিরম্নদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এদের মধ্যে সৈয়দ মো. হুসাইন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত তাড়াইল থানার রাজাকার কমান্ডার পলাতক সৈয়দ মো. হাসান আলী ওরফে হাছেন আলীর ছোট ভাই এবং মোহাম্মদ মোসলেম প্রধান তার সহযোগী ও নিকলী কামারহাটি গ্রামের মৃত শেখ লাবু মিয়ার ছেলে।
গতকাল মঙ্গলবার প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ একটি মামলার আসামি সৈয়দ মো. হুসাইন ও মোহাম্মদ মোসলেম প্রধানের বিরম্নদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানালে আবেদন আমলে নিয়ে তাদের দুইজনের বিরম্নদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল। আদেশে গ্রেফতারের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদেরকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরেরও নির্দেশ দেয়া হয়।
নিকলী থানার ওসি একেএম মাহবুব আলম জানান, নিকলীর রাজাকার কমান্ডার সৈয়দ মো. হুসাইন (৬৪) ও তার সহযোগী মোহাম্মদ মোসলেম প্রধানের বিরম্নদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে তদনত্ম চলছে। তাদের দু’জনের বিরম্নদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। ট্রাইব্যুনালের পরোয়ানার ভিত্তিতে মোহাম্মদ মোসলেম প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে হুসাইন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও ওসি জানান।
তবে মোসলেম উদ্দিন প্রধানের ছেলে দীন ইসলাম বাচ্চু দাবি করেন, তার আপন দুই চাচা প্রয়াত আবু মিয়া ও ইদ্রিছ আলী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। দুই ভাইয়ের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়ার কারণে মোসলেম উদ্দিন প্রধানকে পাকবাহিনী ধরে নিয়ে যায়। পরিবারের লোকদের বাঁচাতে রাজাকার বাহিনীতে নাম লেখালেও কোন ধরণের অপকর্মের সঙ্গে তার বাবা জড়িত ছিলেন না।