| বিকাল ৫:০৩ - বুধবার - ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কিশোরগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরম্নদ্ধে সদস্যদের অনাস্থা

সিম্মী আহাম্মেদ, কিশোরগঞ্জ ● ৪ জুলাই ২০১৫, শনিবার:
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরম্নদ্ধে অনাস্থা প্রসত্মাব এনেছেন ইউপি সদস্যরা। সম্প্রতি উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর যশোদল ইউপির ৯ সদস্যের স্বাক্ষরসম্বলিত অনাস’াপত্রটি জমা দেয়া হয়। অনাস্থাপত্রে চেয়ারম্যান মো. শামছুল হুদার বিরম্নদ্ধে সদস্যদের সঙ্গে প্রতারণা, নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থ আত্নসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে এসবের তদনত্ম করে প্রয়োজনীয় বিচারিক ব্যবস্থাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়। তবে ইউপি চেয়ারম্যান মো. শামছুল হুদা তার বিরম্নদ্ধে আনা এসব অভিযোগকে মিথ্যা ও মানহানিকর বলে দাবি করেছেন।
ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. চান্দু মিয়া জানান, চেয়ারম্যান মো. শামছুল হুদা ইউনিয়ন পরিষদ বিধিমালা লঙ্ঘন করে ইউনিয়নের উন্নয়নমূলক কাজসহ সকল প্রকার অনুদানের ড়্গেত্রে বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে প্রতারণামূলকভাবে ইউনিয়নবাসীকে তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে আসছেন। সদস্যদের মতামতের বাইরে ও তাদের অজানেত্ম চেয়ারম্যান মনগড়া ভাবে সদস্যদের রেজুলেশন করা কাগজপত্রে তার নিকটাত্মীয়দের নাম দিয়ে প্রকল্প তৈরি করে প্রকল্পের নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করে আসছেন। এছাড়া ইউনিয়নের রাজস্ব আদায়ের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না করে চেয়ারম্যান আত্মসাত করছেন। অন্যদিকে চেয়ারম্যান শামছুল হুদা তার শ্যালক মো. হেলিমকে ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রে নিয়োগ দিয়ে জন্মনিবন্ধন ও ওয়ারিশান সনদ বাণিজ্যে মেতে ওঠেছেন। এসবের প্রতিবাদ করলে তিনি সদস্যদের সঙ্গে খারাপ আচরণসহ তাদেরকে নানাভাবে হুমকি প্রদান করেন। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে অনাস্থা প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি মনত্মব্য করেন। মো. চান্দু মিয়া আরো জানান, অনাস্থা প্রসত্মাবে তিনি ছাড়াও ১নং ওয়ার্ড সদস্য আবদুল খালেক, ২নং ওয়ার্ড সদস্য মাজহারম্নল হক, ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মো. হাসিম, ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মো. ফজলু, ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আরজু, ৮নং ওয়ার্ড সদস্য মো. চাঁন মিয়া, ৯নং ওয়ার্ড সদস্য মজিবুর রহমান খোকন এবং ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরড়্গিত মহিলা সদস্য মোছা. রাশিদা খানম স্বাড়্গর করেছেন। ইউনিয়নের বাকি ৩জন সদস্যকে বিভিন্ন প্রকল্প ও টাকা দিয়ে চেয়ারম্যান তার পড়্গে রেখেছেন।
চেয়ারম্যান মো. শামছুল হুদা তার বিরম্নদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর সফরে যান। এবারও আগামী ২৪ জুলাই তিনি ফিলিপাইন ও সিঙ্গাপুর সফরে যাচ্ছেন। চেয়ারম্যান মো. শামছুল হুদা বলেন, আমি যদি দুর্নীতিই করি তাহলে আমি শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হচ্ছি কিভাবে? এছাড়া প্রতিবছর আমরা কয়েকশ’ গরম্ন কোরবানী দিয়ে এলাকাবাসী ও দুস’দের মধ্যে বন্টন করি। তাই আমার বিরম্নদ্ধের দুর্নীতির অভিযোগ অবানত্মর। কয়েকজন ইউপি সদস্য কোন কারণে আমার উপর ড়্গুব্ধ হয়ে এ রকমটি করে থাকতে পারে।
এ ব্যাপারে সদরের ইউএনও মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ জানান, ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হুদার বিরম্নদ্ধে ইউপি সদস্যদের অভিযোগের বিষয়টি দেখার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান তার কাছে পাঠিয়েছেন। অভিযোগগুলো তদনত্ম করে দেখা হচ্ছে। তবে অভিযোগ দাখিলের প্রক্রিয়াটি বিধি অনুযায়ী হয়নি বলেও তিনি মনত্মব্য করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২:২৬ অপরাহ্ণ | জুলাই ০৪, ২০১৫