কীটনাশক মিশ্রিত লিচু খেয়েই ৮ শিশুর মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক, ২৬ জুন ২০১৫, শুক্রবার,বাজারে যত দ্রুত লিচু তোলা যাবে, ততো বেশি দামে বিক্রি হবে, ততো বেশি লাভ হবে- এই আশায় দ্রুত পাকানোর জন্য ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক। আর তাদের এই লোভের কারণেই মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুরের ৮ শিশুর।
গত এক মাসে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যাওয়া ১১ শিশুর মধ্যে ৮ শিশুরই মৃত্যু হয়েছে লিচু খেয়ে। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) গবেষণা বলছে, লিচুতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারই ওই ৮ শিশুর মৃত্যুর কারণ। গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে দিনাজপুরে চলা আইইডিসিআর-এর পরীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। এছাড়াও লিচু খাওয়ায় মারা না গেলেও এমন কীটনাশকের উপস্থিতি মিলেছে স্থানীয় আরো অনেকের শরীরে।
রোগতত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর পরিচালক ড. মাহমুদুর রহমান বলেন, এখানকার অর্ধেক লিচু বাগানকেন্দ্রিক। যারা কীটনাশক স্প্রে করে, আমাদের ধারণা এগুলো মাত্রাতিরিক্তভাবে করে এবং এক্ষত্রে কোন নিয়ম মানা হয় না।
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের গবেষক দল জেলার বীরগঞ্জ, কাহারোল, খানসামা, বিরোল ও চিরিরবন্দর উপজেলার লিচু বাগানে পরীক্ষা চালিয়ে দেখতে পায় ২৩ ধরণের কীটনাশক ব্যবহার করা হয় এখানে।
ড. মাহমুদুর রহমান দিনাজপুরে কোন বিশেষ ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করে বলে ধারণা প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, শুধু লিচুতে নয়, বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করা প্রায় সব ফলে কিংবা ফসলে ব্যবহার করা হয় কীটনাশক। কিন্তু মাত্রা অতিরিক্ত ব্যবহারে হয় বিপত্তি। তবে শিশুদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা তারা দ্রুত আক্রান্ত হয়। তাই বাগানে ফল না খাওয়া আর খেলেও তা আগে ধুয়ে নেয়ার পরামর্শ এই বিশেষজ্ঞের।
সেইসাথে তিনি বলেন, আমরা এই ধরনের অবস্থা দেখছি ২০০৯ সালে ধামরাইতে, নওগাতে ২০০৮ সালে ২০১২ তে দিনাজপুরে এবং ২০১৫ তেও দিনাজপুরে।