| দুপুর ১:৫৮ - শুক্রবার - ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ভারত শুনলো বাঘের গর্জন

অনলাইন ডেস্ক, ২১ জুন ২০১৫, রবিবার,

এই রোদ, তো এই বৃষ্টি। এতো কিছুর মাঝেও আবারও ভারত-বধের পথটা রুদ্ধ হতে পারেনি।

২০০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশের ইনিংসেও বিপর্যয় এসেছে। ভাল সূচনা পেয়েও কয়েকজন ব্যাটসম্যান আউট হয়ে গেছেন, রান আউটও হয়েছে। কিন্তু জয়ের পথে সেটা কোন বাধা হতে পারেনি। ৫৪ বল বাকি থাকতেই চলে আসে ছয় উইকেটের জয়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন সাকিব আল হাসান।

আগের ম্যাচের ৭৯ রানের বড় জয়ে যে ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছিল তার পূর্ণতা আসলো। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতকে আবারও হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের প্রতিশোধ নেয়ার ব্যাপারটা আগের ম্যাচেই চুকেবুকে গিয়েছিল, দ্বিতীয় ম্যাচে বোঝা গেল বিশ্ব ক্রিকেটে এখন সত্যি বাংলাদেশ বড় শক্তি।

এবারে শুরুর জয়টা অবশ্য মাশরাফির ছিল না। টসে জিতেছিলেন ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাতে দলকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে তাতেও কি আর কপাল ফেরে! ইনিংসের মাত্র দ্বিতীয় বলেই মুস্তাফিজুর রহমানের বলে পয়েন্টে সাব্বির রহমান রুম্মানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজ ঘরে ফিরে যান ওপেনার রোহিত শর্মা।

এরপর ৭৪ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলি। ২৩ রান করা বিরাটকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন নাসির। এরপর হাফ সেঞ্চুরি (৫৩) করা শিখর ধাওয়ানকেও ফিরিয়ে দেন নাসির। সব মিলিয়ে ১০ ওভার বল করে মাত্র ৩৩ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন এই পার্টটাইমার।

তবে সবচেয়ে বড় ধসটা নামান আগের দিনের নায়ক মুস্তাফিজ। ১১০ রানের মাথায় রানের খাতা খোলার আগেই আম্বাতি রাইডুকে ফিরিয়ে দেন রুবেল হোসেন। এরপর সুরেশ রায়নার সাথে ৫৩ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক ধোনি।

আর এর মধ্য দিয়েই ইতি ঘটে ভারতীয় ব্যাটিং-লড়াইয়ের। শেষ ছয় উইকেট পড়ে মাত্র ৩৭ রানের মধ্যে। মাঝখানের বৃষ্টিও বাংলাদেশি বোলারদের সামনে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচে ছয় উইকেট পেয়েছেন মুস্তাফিজ। এরমধ্য দিয়ে ইতিহাসের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম দুটি ম্যাচের দুটিতেই পাঁচ উইকেট পেলেন তিনি। আর দুই ওয়ানডে মিলিয়ে পেয়েছেন ১১ উইকেট। এই কীর্তি আগে কোনো বোলারেরই ছিল না।

এর সাথে রুবেল হোসেনও নিয়েছেন দুটি উইকেট। সব মিলিয়ে ভারতের ব্যাটসম্যানরা মাথা তুলে দাঁড়ানোর সুযোগ খুব কমই পেয়েছেন। ৪৫ ওভারে অল আউট হওয়ার আগে করতে পেরেছেন মাত্র ২০০ রান।

বৃষ্টির কারণে ম্যাচ চলে যায় ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মের অধীনে। আর তাতে ৪৭ ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০০ রান। বাকিটা ইতিহাস, সিরিজ জয়ের ইতিহাস, ভারত বধের ইতিহাস।

বাঘের গর্জন এমনই হয়। জঙ্গল ছাপিয়ে অনেক দূর শোনা যায়!

সর্বশেষ আপডেটঃ ১২:০৯ পূর্বাহ্ণ | জুন ২২, ২০১৫