| বিকাল ৫:১২ - শুক্রবার - ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চারলেন মহাসড়ক ৩০ জুন খুলে দেয়া হবে-ওবায়দুল কাদের

অনলাইন ডেস্ক, ২০ জুন ২০১৫, শনিবার,.

ঢাকা-ময়মনসিংহ চারলেন মহাসড়ক ঈদের আগেই অর্থাৎ ৩০ জুন খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  শনিবার দুপুরে রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে সিপিডি আয়োজিত ‘দক্ষিণ এশিয়ার আন্তঃযোগাযোগ ও বাণিজ্য সুবিধা’ শীর্ষক এক সংলাপে তিনি এ কথা জানান।  তিনি বলেন, ‘ঈদের আগেই (৩০ জুন) ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক খুলে দেয়া হবে।’ এবার ঈদে এ মহাসড়কে কোনো ভোগান্তি হবে না বলেও আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্পটি কত চ্যালেঞ্জিং তা আমি জানি। গত সাড়ে ৩ বছরে ১০৩ বার পরিদর্শন করেছি। রাস্তার পাশে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, শ্মশান, কবরস্থান আছে। এগুলো সরানো আমাদের দেশে অনেক কঠিন। ফলে এগুলো সরাতে অনেক সময় লেগেছে। একটা মসজিদ সরাতে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে ১০ বার বসতে হয়েছে। ইতোমধ্যে অন্তত ১৯০ কিলোমিটার পাকা সড়ক ও ২০টি সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। নতুন নির্মিত ১০০ কিলোমিটার সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে।’

এ মহাসড়কে ৬ লেনের কাজ অচিরেই শুরু করতে পারা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

ঢাকা মেট্টোরেল সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এর ফিজিক্যাল কনস্ট্রাকশন কাজ শুরু হবে। এ প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০২০ সালে শেষ করা হবে। ২০১৯ সালের মধ্যে আগারগাঁও পর্যন্ত কাজ শেষ হবে। আর ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত সম্পূর্ণ কাজ শেষ হবে।’

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস সম্পর্কে কাদের বলেন, ‘এ প্রকল্পটি অচল অবস্থার মধ্যে ছিল। উত্তরা থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত কাজ শুরু হয়েছে।’

চার দেশের মধ্যে গাড়ি চলাচল নিয়ে সম্প্রতি হওয়া চুক্তি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘এডিবি তিন বছরের সময় চেয়েছে। কিন্তু আমরা বলেছি, ছয় মাসের বেশি সময় দেয়া যাবে না। আশা করি আগামী ছয় মাসের মধ্যে চুক্তি শর্ত অনুসারে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোসহ অন্যান্য বিষয় সম্ভব হবে। এ আন্তঃযোগাযোগে পাকিস্তান, শ্রীলংকাও আসতে পারে। এগ্রিমেন্ট অনুসারে ডোর ইজ ওপেন।’

পদ্মাসেতু সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কাজ ২০ শতাংশ শেষ হয়ে গেছে। এর আশপাশের রাস্তা ফোরলেন করা হচ্ছে। এসব সড়ক চার দেশের আন্তঃযোগাযোগের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।’

যানজট সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘রাস্তায় শুধু যানজটই নয় জনজটও আছে। বৃষ্টি হলে সৃষ্টি হয় জলজট। এ তিন জটে ঢাকা শহরের অবস্থা বেহাল। আমাকে তো রাস্তায় যেতেই হবে। অনেকে সমালোচনা করেন, মন্ত্রী রাস্তায় কেন? এদেশে রাস্তায় না গেলে কোনো কাজ হবে না।’

সংলাপে সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন ভারতীয় হাই কমিশনার পঙ্কজ শরণ, নেপালের রাষ্ট্রদূত এইচকে শ্রেষ্ঠা ও এফবিসিসিআইর সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ, সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রমুখ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৯:৪৮ অপরাহ্ণ | জুন ২০, ২০১৫