| রাত ১১:৫৪ - বুধবার - ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নেত্রকোনায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি :১৬ জুন ২০১৫, মঙ্গলবার: 

সদর উপজেলার সতরশ্রি জামেয়া জামেয়া আহমদিয়া আর.এস.দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. আলী হোসেনের বিরুদ্ধে পরীক্ষার কেন্দ্র ফিস আত্মসাত, দায়িত্বে অবহেলা, প্রতারণাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের মো. আবদুল মালেক শিক্ষা সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ এবং আদালতে মামলা করেছেন। আবদুল মালেক আজ মঙ্গলবার এ প্রতিনিধিকে অভিযোগের বিষয়টি জানান।
অভিযোগে জানা গেছে, সতরশ্রি জামেয়া জামেয়া আহমদিয়া আর.এস.দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. আলী হোসেন ২০০৫ সালে এসএসসি ভোকেশনালের ২টি ট্রেডে কারিগরি বোর্ড থেকে অনুমোদন নেন। কিন’ ওই মাদ্রাসায় কোন শিক্ষার্থী নেই বা পাঠদান হয়না। মিথ্যে তথ্য দিয়ে বিভিন্ন ট্রেডে ১৪জন শিক্ষক কর্মচারীর নিয়োগ দেখান এবং ওই মাদ্রাসা শাখায় ১৯জন এমপিও ভূক্ত শিক্ষক কর্মচারীর নামে দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করছেন। মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, ওই মাদ্রসায় ৪৭২জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। সুপার আলী হোসেন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় হওয়া মাসিক বেতন, পরীক্ষার ফি ও অন্যান্য ফিয়ের টাকা রসিদ ছাড়াই উঠান এবং ওই টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। এসএসসি (ভোকেশনাল), নবম শ্রেণি ২০১৩ ও এসএসসি (ভোকেশনাল) দশম শ্রেণি-২০১৪ সালের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় হওয়া কেন্দ্র সরকার নির্ধারিত ৫১হাজার ৭৫০ কেন্দ্রে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। এ ব্যাপারে মো. আবদুল মালেক শিক্ষা সচিব বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেণ্‌ সহকারী সচিব (মাদ্রাসা) মো. আ. খালেক মিয়া বিষয়টি তদন- করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। এ ছাড়া মো. আবদুল মালেক সুপরের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত নেত্রকোনায় মামলা দায়ের করেন।
সুপার মো. আলী হোসেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্থানীয় কিছুলোক আমার বিরুদ্ধে দীর্ঘনিদ ধরে নানা ষড়যন্ত্র করছে। তারই আমার বিরুদ্ধে এ সমস- অপবাদ ছড়াচ্ছে। আমাকে হয়রানী করার জন্য মামলাও করেছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৫:১০ অপরাহ্ণ | জুন ১৬, ২০১৫