গৌরীপুরে বাঁশবেতের কাজ করে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাদ্রাসা ছাত্রী কামরম্নন নাহার
সাজ্জাতুল ইসলাম সাজ্জাত, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) থেকে : ০৯ জুন ২০১৫, মঙ্গলবার,
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বায়ড়াউড়া গ্রামের বাঁশবেতের কাজ করে জিপিএ-৫ পেয়েছে কামরম্নন নাহার। বাবা সাইদুল ইসলাম কলা বিক্রেতা। ছয় সনত্মানের আহার সংগ্রহে মাও বাঁশবেতের কাজ করেন। বিনাবেতনে পাঠদান আর শিক্ষকদের সহযোগিতায় তিনি এ সফলতা অর্জন করেছেন। এবার ইসলামবাদ সিনিয়র মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষা্য় অংশ নিয়ে মাদরাসা বোর্ডে এ কৃতিত্ব অর্জন করেন। উচ্চ শিড়্গায় ভর্তি নিয়ে শংকা। ঘটবে বিদ্যার ঘরে তালা!
বিয়ে হয়েছে বড় বোন সাবিকুন নাহারের। ছোট বোন ফজিলা আক্তার ৬ষ্ট শ্রেণি, তানিয়া ৪র্থ, ছোট ভাই তোফায়েল আহাম্মেদ ও তৌহিদুল ইসলাম। কামরম্নন নাহার জানায়, সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবারে দাঁড়ি বিক্রি হয়। ৫দিন চলে তৈরির কাজ। লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে আহার যোগাতে এ কাজের বিকল্প নেই। বাবার রয়েছে মাত্র আড়াই শতাংশ জমিতে ছোট্ট একটি ঘর। আর্থিক দৈন্যদশায় মেয়েটির লেখাপড়া চালাতে অসহায় পরিবার। ছোট ভাই-বোনদের অন্ন যোগাতে কামরম্নন নাহারের জীবন চলছে বাঁশবেতে। লেখাপড়ার খরচ যোগান দেয়া সম্ভব নয়। তাই কামরম্নন নাহারের বিদ্যার ঘরে তালা লাগার রয়েছে শংকা! মেয়েটি কষ্টের বর্ণনা দিয়ে ইসলামাবাদ মাদরাসার উপাধ্যড়্গ মোঃ এমদাদুল হক বলেন, দুই ভাইবোন অসুস’, তার চিকিৎসার করার অর্থ নেই, লেখাপড়াও বন্ধের উপক্রম হয়েছে। মাদরাসার সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিন্টু জানান, মাদরাসায় ভর্তি হলে সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে।