| রাত ২:৪০ - বৃহস্পতিবার - ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

২০ দলের বিষ দাতঁ ভেঙ্গে দেয়ায় খালেদা এখন পালানোর পথ পাচ্ছেন না—-ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকির এমপি

সাজ্জাতুল ইসলাম সাজ্জাত : ০৩, জুন, বুধবার, 

সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ডা, ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকির এমপি বলেন, ২০ দলর বিষ দাতঁ ভেঙ্গে দেয়ায় বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন পালানোর পথ পাচ্ছেন না। তিনি এখন দিশেহারা হয়ে গেছেন। শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের কাছে ২০ দলের আন্দোলন ব্যর্থ। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ২০ দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন নিসত্মব্ধ ও চুপ হয়ে তিনি পালানোর পথ খুজঁছেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন সন্ত্রাস করে ও পেট্রোল বোমা মেরে আন্দোলন সফল করা যায় না। ৯২ দিন ডিমে তা দিয়ে খালেদা জিয়া বাচ্চা ফুটাতে পারেননি।
মঙ্গলবার গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে পাছার উচ্চ বিদ্যারয় মাঠে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আগুন সন্ত্রাসীর জন্মদাতা খালেদা জিয়া। তিনি জঙ্গিমাতা। তাকে রাজনৈতিক ময়দান থেকে বিদায় জানাতে হবে। আগুন সন্ত্রাসের কারিগর খালেদা নেতৃত্বে থাকলে আগুন সন্ত্রাসীদের পুনরায় উত্থান ঘটবে। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশ যখন এগিয়ে চলছে তখন আগুন সন্ত্রাসীরা পেছন থেকে আমাদের টেনে ধরছে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ বিরোধীরা যখন ধ্বংশ লিলায় মত্ত তখন শেখ হাসিনার সরকার সন্ত্রাস দমনে বহি:বিশ্বের প্রশংসা অর্জন করেছে। শেখ হাসিনা বাঙ্গালীর অহঙ্কার উলেস্নখ করে এমপি মজিবুর রহমান ফকির বলেন, বিশ্বের ১০০ ড়্গমতাধর ব্যক্তির মধ্যে বাংলাদেশর সফল প্রধান মন্ত্রী মাননীয় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ৫৯ তম। এটি বাঙ্গালী জাতির গর্ব করা উচিত। তাই শেখ হাসিনা কারো হুঙ্কার পরোয়া করেন না।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এখন বেইল নাই। কারণ সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। খালেদা জিয়ার নির্দেশে ২০১৩ সালব্যাপী ছাত্রদল-ছাত্রশিবির সন্ত্রাসীদের দেশব্যাপী জ্বালাও-পোড়াও কর্মকান্ড, মানুষ হত্যা, সংখ্যালঘু হিন্দু সমপ্রদায়ের মানুষকে হত্যা, নারী নির্যাতন, তাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ- ৯ মাস এমনি আত্মঘাতী কর্মকান্ড চালানো হয়। শেখ হাসিনা সংবিধান অনুযায়ী ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেন। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়ে ৫৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেয়, খালেদা জিয়ার আগুন সন্ত্রাসীরা প্রিসাইডিং অফিসার হত্যা, পুলিশ হত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়েও নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। যথারীতি নির্বাচন হয়ে গেল, খালেদা এবং তাঁর আগুন সন্ত্রাসী বাহিনী ঘরে ঢোকে। এ বছরের জানুয়ারিতে নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে আবার সন্ত্রাস শুরম্ন করে। এবার শুরম্ন করে পেট্রোলবোমা। নিজেকে গুলশান কার্যালয়ে স্বেচ্ছা অবরোধ করে প্রতিনিয়ত পেট্রোলবোমায় ৯২ দিনে দেড় শতাধিক মানুষ হত্যা, দেড় সহস্রাধিক গাড়ি পোড়ানোসহ হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস করেও কোন সুফল ঘরে তুলে নিতে ব্যর্থ হয়ে রণে ভঙ্গ দেন এবং স্বেচ্ছা অবরোধ তুলে ঘরের বউ ঘরে ফিরে যান। চৌকস রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এবার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন দিলে খালেদা জিয়া নাকে খত দিয়ে তাতে অংশ নেন, কিন’ জনগণ আগুন সন্ত্রাসিনীকে প্রত্যাখ্যান করে। নির্বাচিত তিনটি সিটি কর্পোরেশনেই হন শেখ হাসিনার প্রার্থীরা জয়ী হন। খালেদা আরেকটি ব্যর্থতার গস্নানি নিয়ে ঘরে ফেরেন। ৯২ দিন কী ভয়াবহ পরিসি’তি ও আতঙ্ক গোটা দেশকে সহ্য করতে হয়েছে। তারপরও খালেদা জিয়া দিব্যি রাজনীতি করছেন! কী বিচিত্র এই দেশ, সেলুকাস? এমনি অনেক কাহিনী আছে। বিশেষ করে খালেদা জিয়া বাংলাদেশ ও বাঙালী জনগণের জন্য দুষ্টগ্রহ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, কিন’ অর্জন বলুন, সাফল্য বলুন, ব্যাগ শূন্য। পক্ষানত্মরে রাষ্ট্র পরিচালনায় তথা দেশের আর্থ-সামাজিক, সংস্কৃতিচর্চা ও উন্নয়নে শেখ হাসিনা দৃপ্ত পদভারে এগিয়ে চলেছেন। আর খালেদা জিয়া চেয়ে চেয়ে দেখছেন আর জ্বলছেন। জ্বলতে তো হবেই। এক মেধাবী সুশিক্ষিতা ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সুশীল পরিবেশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এবং সর্বোপরি আন্দোলনের মধ্যে বড় হওয়া শেখ হাসিনার সঙ্গে খালেদা জিয়ার তুলনা হয় না। তার বুদ্ধির ফেরিওয়ালারাও এখন ক্লানত্ম। বর্তমান সরকারের সফলতা উলেস্নখ করে এমপি মজিব বলেন, শেখ হাসিনার সাফল্যের তালিকা অনেক অনেক দীর্ঘ।
অচিনত্মপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি শহীদুল ইসলাম অনত্মর এর উপস্থাপনায় উক্ত সম্মেলনে আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়াম লীগের সাধারণ সম্পাদক বিধু ভুষণ দাস, কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক শরীফ হাসান অনু, সিনিয়র সহসভাপতি ডা, হেলাল উদ্দিন আহম্মদ, অধ্যক্ষ রুহুল আমিন, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ম.নুরম্নল ইসলাম, ইকবাল হোসেন জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল মুন্নাফ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জসিম উদ্দিন আহম্মদ, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সরকার, সহনাটি ইউপি চেয়ারর্ম্যান দুলাল আহম্মদ, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক ইকরাম হোসেন খান মামুন, শ্রমিক লীগ সভাপতি আব্দুস সামাদ, আওয়ামী লীগ নেতা ফজলে মাসুদ, সোমনাথ সাহা, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হাসান আজাদ লিটন, পৌর যুরলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর ওরফ মোসত্মাকিম, উপজেলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক উমর ফারম্নক, সাহাবুল আলম, নব নির্বাচিত সভাপতি রম্নহী দাস আচার্য্য প্রমুখ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৬:৩৮ অপরাহ্ণ | জুন ০৩, ২০১৫