| রাত ৮:৪৫ - রবিবার - ২১শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মোদীর সঙ্গে মমতাও আসছেন

অন লাইন ডেস্ক, ২৮ মে ২০১৫, বৃহস্পতিবার,
ভারতে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির টানাপোড়েনের কারণে অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও শেষ মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ঢাকা আসতে রাজি হয়েছেন। ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা পিটিআই গতকাল বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের শিড়্গামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে উদ্ধৃত করে এই খবর জানিয়েছে।
বাংলাদেশে প্রথম সফরে আগামি ৬ জুন আসতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। তার এই সফর নিয়ে প্রতিবেশী দুই দেশেই ব্যাপক আলোচনা চলছে। চার বছর আগে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সফরসঙ্গীর তালিকা থেকে শেষ মুহূর্তে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।  সব প্রস’তি থাকার পরও তার আপত্তির কারণে তখন আটকে যায় তিসত্মার পানি বণ্টন নিয়ে দুই দেশের চুক্তি সই, যা এখনও হয়নি। সাবেক কংগ্রেস নেত্রী মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস এক সময়ে বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধলেও এখন তাদের সম্পর্ক অনেকটাই সাপে-নেউলে। বিজেপি নেতা মোদীর কঠোর সমালোচক তিনি।

এসব মিলিয়ে মমতা ঢাকা সফরে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আসছেন না বলে ভারতের গণমাধ্যমে কয়েকদিন আগেই খবর প্রকাশ হয়েছিল। তবে সফরের এক সপ্তাহ আগে তৃণমূলের জ্যেষ্ঠ নেতা পার্থ নিশ্চিত করলেন, তার মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবেশী বাংলাদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গী হচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী আগামি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বাংলাদেশে যাচ্ছেন। আমরা আশা করি, এই সফর দুই বাংলার (বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ) সমপ্রীতি আরও গাঢ় করবে, সম্পর্ক দৃঢ় করবে দুই দেশেরও।
২০১১ সালে মনমোহনের সফর এড়িয়ে গেলেও এই বছরই বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তখন বাংলাদেশের স্বার্থ সংরড়্গণে ভূমিকা রাখবেন বলে প্রতিশ্রম্নতি দিয়ে যান তিনি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমাদের দুই বাংলার মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। এক ভাষায় কথা বলি আমরা, দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতাও একজন (কবিগুরম্ন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)। আমরা মনে করি, প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর দুই দেশের স্বার্থ উদ্ধার হবে, পশ্চিমবঙ্গেরও।
বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকরের সব বাধা কাটিয়ে ওঠার পর নরেন্দ্র মোদীর এই সফর হচ্ছে। একসময় বিরোধিতা থাকলেও বিজেপি সরকারের এই উদ্যোগে শেষে সমর্থন ছিল মমতার।  তিসত্মা চুক্তির জট খোলার আশা ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হলেও এ বিষয়ে মমতার স্পষ্ট বক্তব্য এথনও আসেনি। এ বিষয়ে পিটিআইয়ের প্রশ্নে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,বিষয়টি আমি জানি না, তাই এ নিয়ে কিছু বলতে পারছি না।
অভিন্ন নদী তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির ক্ষেত্রে মমতার আপত্তি ছিল এই কারণে যে, যেহেতু পশ্চিমবঙ্গ পানি সমস্যায় রয়েছে, তাই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে পানি দিলে ওই রাজ্যে অভাব দেখা দেবে।
নয়াদিলিস্ন সূত্র জানিয়েছে, এক বছর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ঢাকা প্রথম সফরে যেতে বাংলাদেশলাগোয়া রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলেন মোদী। শেষ মুহূর্তে তাতে সাড়া মিলল। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোদি এই সফরে শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গেও তার সৌজন্য সাড়্গাতের কথা রয়েছে।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু আনত্মর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিনি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ওপর বক্তৃতা দিতে পারেন। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ীর পড়্গে বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীনতা সম্মাননা গ্রহণ করতে পারেন বলেও আলোচনা রয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাড়্গরের সম্ভাবনা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই গণমাধ্যমে আলোচনা চলছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সফরে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমানেত্ম একটি সীমানত্ম হাটও উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনা।এফএনএস:

সর্বশেষ আপডেটঃ ৯:২০ অপরাহ্ণ | মে ২৮, ২০১৫