| সকাল ৬:২৩ - শনিবার - ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

রেলের প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রীকে নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ

 

জামালপুর প্রতিনিধি:

রেলের ময়মনসিংহের কেওয়াটখালীতে কর্মরত উর্ধ্বতন উপ-সহকারী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য প্রথম স্ত্রীকে নির্যাতন, প্রাণনাশের হুমকী প্রদান এবং প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই এক কিশোরীকে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে। চরিত্রহীন এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছেন তার প্রথম স্ত্রী মরিয়ম বেগম।
টাঙ্গাইলের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মরিয়ম বেগম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন, রেলের উর্ধ্বতন উপ-সহকারী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয় ১৯৭৮ সালের ১৪ নভেম্বর। বিয়ের পর তার এক ছেলে ও এক কন্যা সন-ান জন্ম দেন। বিয়ের পর থেকেই তার উপর চলে নানা ধরনের অত্যাচার নির্যাতন। মূখবুজে সহ্য করলেও গত কয়েক বছর ধরে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে চলে। শফিকুল জামালপুরে কর্মরত থাকাবস্থায় নিজ কর্মস’লে এক নারীসহ আটক হলে তাকে বিয়ে করে। পরবর্তীতে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে ওই নারীকে বিদায় করে। মরিয়মের অনুমতি ছাড়াই শফিকুল ইসলাম টাঙ্গাইলের এক কিশোরীকে জোরপূর্বক বিয়ে করে।
প্রথম স্ত্রী মরিয়মের অভিযোগ, স্বামী শফিকুল ইসলাম তার কাছে ৫ লাখ টাকা বিভিন্ন সময় হাতিয়ে নিলেও আরো ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। ইতোমধ্যে তিনি অন্যত্র দ্বিতীয স্ত্রী নিয়ে বসবাস শুরু করলে উপায়ন-র না দেখে প্রথম স্ত্রী মরিয়ম টাঙ্গাইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুকের মামলা করেন। এর পর প্রতারণামূলকভাবে তার কাছ থেকে পুনরায় টাকা হাতিয়ে নিলে তিনি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরো একটি মামলা দায়ের করেন।
প্রথম স্ত্রী মরিয়মের অভিযোগ, টাঙ্গাইল জুডিসিয়াল আদালতে তার দায়েরকৃত মামলায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম ২০১২ সালের ৫ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই পর্যন- জেল হাজতে থাকলেও ওই সময় তিনি সরকারি ছুটি দেখিয়েছেন। জেল হাজতে আটক থাকার বিষয় গোপন করে ভুল তথ্য দিয়ে ছুটি নেয়ার ঘটনাটি ছুটি বিধিমালা ১৯৫৯ এর ৭৪ বিধির নিয়ম বর্হিভূত।
মরিয়মের অভিযোগ, প্রতারক স্বামী রেলের উর্ধ্বতন উপ-সহকারী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম এতও ক্ষান্ত হয়নি। তিনি একের পর এক মোবাইলে তাকে হুমকী দিচ্ছে প্রাণনাশের। এসব বিষয়ে রেলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ করেও তিনি কোন প্রতিকার পাননি।
অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য শফিকুল ইসলাম ৩ বার সাসপেন্ড হন এবং একবার তার ডিমোশন হবার ঘটনাও ঘটেছে। তার বিরুদ্ধে রেলের বিভাগীয় একাধিক দুর্নীতি মামলা থাকলেও তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন।  দুর্নীতিবাজ, নারী নির্যাতনকারী, যৌতুক ও নারীলোভী এই রেল কর্মকর্তার শাসি- দাবি করেছেন তার প্রথম স্ত্রী মরিয়ম।
এ ব্যাপারে কথা বলতে রেলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। #

সর্বশেষ আপডেটঃ ৯:৩৯ অপরাহ্ণ | মে ২৬, ২০১৫