| সকাল ৮:৪৪ - শুক্রবার - ১২ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২৯শে চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ২রা শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গফরগাঁওয়ে মসজিদের রাস্তা নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত-২ ওসিসহ আহত-২৫, গ্রেফতার-২

আজহারুল হক, গফরগাঁও ঃ ২২ মে শুক্রবার,
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মসজিদে যাওয়ার রাস্তা নিয়ে দুই গোষ্ঠির মধ্যে সংঘর্ষে আঃ সামাদ খান(৫২) ও চাচাতো ভাই আবুল কালাম খান(৫৫) নিহত হন। সংঘর্ষে ওসিসহ ২৫জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার উসি’ ইউনিয়নের শেউলী গ্রামে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সজল মীর ও লিয়াকত মীরকে গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে দুই গোষ্ঠির লোকজনের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরবর্তীতে যে কোন সংঘাত-সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গফরগাঁও সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উসি’ ইউনিয়নের শেউলী গ্রামের মীর পরিবারের সজল মীরের জমির উপর দিয়ে মসজিদের যাওয়ার রাস-া প্রশস- করতে প্রতিবেশী খান গোষ্ঠির লোকজন দাবী জানিয়ে আসছিল। এতে মীর গোষ্ঠির লোকজন ওই জমি ক্রয় করে রাস-া প্রশস- করার কথা বলে। এ নিয়ে দুই গোষ্ঠির মধ্যে দ্বন্দ্ব-কথা কাটাকাটি হয়। গত বৃহস্পতিবার বিকালে খান গোষ্ঠির লোকজন জোর করে রাস-ার পাশের সীমানা খুটি উপড়ে ফেলে। এ সময় উভয় গোষ্ঠির লোকজনের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। পরে মীর গোষ্ঠির লোকজন খান গোষ্ঠির তসলিম খান ও হেলিম খানকে মারধর করে। এর জের ধরে ওই রাতে খান গোষ্ঠির সশস্ত্র লোকজন মীর গোষ্ঠির সজল মীরের বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর চালায়। আজ শুক্রবার সকালে খান পরিবারের ৪০-৫০জন সশস্ত্র লোকজন মীর গোষ্ঠির লোকজনের বাড়ি-ঘরে হামলা করতে যায়। এ সময় উভয় গোষ্ঠির লোকজন সশস্ত্র অবস্থায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে খাইরুল,তসলিম, হেলিম খান, মোশাররফ খান,সাদ্দাম খানসহ উভয় পরিবারের অন্তত ২৫জন আহত হয়। এ সময় সামাদ খান নামে একজন ঘটনাস’লেই নিহত হয়। পরে মূমূর্ষু অবস্থায় কালাম খানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে অবস’ার অবনতি হলে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে কালাম খান মারা যান। খবর পেয়ে পাগলা থানার ওসির নেতৃত্বে হত্যাকারী সজল মীর ও তার ছেলে লিয়াকত মীরকে গ্রেফতার করার সময় ওসি বদরুল আলম খান, এসআই হাবিব, এসআই মুক্তারুজ্জামান ও কনষ্টেবল মফিদুল আহত হন। এ ঘটনায় উভয় পরিবারের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উপজেলার পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান বলেন, এ ঘটনায় আসল হত্যাকারীসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৫:৪৩ অপরাহ্ণ | মে ২২, ২০১৫