| দুপুর ২:১৮ - সোমবার - ২২শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৯ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১২ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সমরাস্ত্র রপ্তানিও করবে বাংলাদেশ

অন লাইন ডেস্ক, ২১ মে, বৃহস্পতিবার,

অস্ত্র ও গোলাবারুদ আমদানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে স্বনির্ভরশীল হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে প্রয়োজন হলে আমরা অস্ত্র রপ্তানিও করতে পারবো।  বৃহস্পতিবার শেরেবাংলা নগরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রারম্ভিক ভাষণে একথা বলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রধানমন্ত্রী।

অস্ত্র ও গোলাবারুদ আমদানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে রপ্তানির বিষয়ে মনোযোগী হতে বাংলাদেশ অর্ডনেন্স ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেনস তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অস্ত্র ও গোলাবারুদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে অর্ডনেন্স ফ্যাক্টরির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। সবকিছু আমদানি নয়। আমরা নিজেরাই আমাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরি করবো। আমাদের এ বিষয়ও মাথায় রাখতে হবে যে, দরকার ও যথোপযুক্ত হলে আমরা সমরাস্ত্র রপ্তানিও করতে পারবো।’  জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষায় বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে আধুনিক, সময়োপযোগী ও উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭৪ সালে প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করেছে তার সরকার এবং এর আওতায় তিন বাহিনীর পুনর্গঠন ও আধুনিকীকরণের কার্যক্রম চলছে।  শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদকালে তার সরকার সেনাবাহিনীর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে অনেকগুলো ইউনিট গঠন করে। সে সময় ১টি পদাতিক ও ১টি কম্পোজিট ব্রিগেড, স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন, ১টি সাঁজোয়া রেজিমেন্ট, ৩টি পদাতিক ইউনিট, ২টি আর্টিলারী ইউনিট, ১টি আরই ব্যাটালিয়ন, ২টি ইসিবি এবং ১টি এসটি ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা ও পুনর্গঠন করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রতিরক্ষা সচিব কাজী হাবিবুল আওয়াল। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তিন বাহিনী প্রধানগণ এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস

সর্বশেষ আপডেটঃ ৬:২৮ অপরাহ্ণ | মে ২১, ২০১৫