| সকাল ৬:১৩ - শনিবার - ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঈশ্বরগঞ্জে ছাত্রী যৌননির্যাতনের ঘটনা ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রভাবশালীদের ধামাচাপার চেষ্টা

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি, ১৮ মে ২০১৫, সোমবার:
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী যৌননির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে লিচু ও বিস্কিট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জোর করে হাত ধরে দুই ঘরের ফাকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে কাপড় খুলে তাকে যৌন নির্যাতন করেছে বলে জানিয়েছে নির্যাতিতা শিশু। এদিকে ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এলাকার প্রভাবশালীদের নিয়ে টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের রাউলের চর গ্রামের জৈনক দিনমজুরের মেয়ে রাউলের চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শেণির ছাত্রী প্রতিবেশী প্রভাবশালী আব্দুর রাশিদ (৫০) কর্তৃক ওই যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। গত বুধবার সন্ধ্যায় লিচু ও বিস্কুট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে বসতবাড়ীর দুই ঘরের নির্জন ফাকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে পরনের কাপড় খুলে যৌন নির্যাতন করে। নির্যাতন শেষে শিশুটিকে কাউকে না বলার জন্য হুমকী দিয়ে যায়। পরের দিন শিশুটির যৌনাঙ্গ ফুলে গিয়ে প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দিলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। জানাজানির পর রোববার আব্দুর রাশিদের বাড়ি ঘেরাও করে প্রতিবাদ জানায় গ্রামবাসী। নির্যাতিতা শিশুটিকে নিয়ে তার বাবা থানায় অভিযোগ করতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন বিষয়টি মিমাংসার করে দেবে বলে জানায়। সোমবার দূপুরে ভিকটিমের বাড়িতে চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন স’ানীয় প্রভাবশালীদেরভাব সঙ্গে নিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে।
নির্যাতিতা শিশুটি জানায়, তাকে লিচু ও বিস্কুট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জোড় করে হাত ধরে দুই ঘরের ফাকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে কাপড় খুলে তাকে যৌন নির্যাতন করে এবং কাউকে না বলার জন্য বলে যায়।  বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করতে অভিযুক্ত আব্দুর রাশিদের বাড়িতে গেলে সাংবাদিকদের দেখে আব্দুর রাশিদ বোর ক্ষেতের আইল দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন জানান, ঘটনাটি স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা, সাবেক মেম্বার ওসমানগণি, আব্দুস সোবান ও পলস্নী ডাক্তার আবু বকর সিদ্দিক কে নিয়ে মিমংসা করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফারহানা ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে সুবিধা হতো। তারপরও বিষয়টি নিয়ে স্যারের সাথে কথা বলে দেখব।
ঈশ্বরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন জানান, বিষয়টি তিনি জানেন না। অভিযোগ পেলে দ্রম্নত আইনানুগ ব্যবস’া নেবেন। ##

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:০৯ অপরাহ্ণ | মে ১৮, ২০১৫