| বিকাল ৪:৪০ - বুধবার - ২৭শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৬ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

কাঁদলেন রোনালদো…

অন লাইন ডেস্ক , ১৬ মে ২০১৫, শনিবার:

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শুরু থেকেই বলে আসছেন তার ভেতরের নরম মানুষটা কেউ দেখলো না। তাকে সবাই ভুল বোঝে। রোনালদোকে খুব কাছ থেকে যারা দেখেছেন তাদের অনুভূতিও একই। রিয়াল মাদ্রিদের এ পর্তুগিজ উইঙ্গারকে অনেকে রাগি, একরোখা ও জেদি বলেই জানেন। কিন্তু রোনালদোর ভেতরটা যে একেবারে মোমের মত নরম তা আরেকবার দেখা গেল। তিনি সামান্য কিছুতেই হয়তো রেগে যান। কিন্তু সামান্য দুঃখ-কষ্টতেও হু হু করে কাঁদেন। সবার সামনে ছোট্ট বাচ্চার মতো তার চোখে পানি চলে আসে। যেমনটা দেখা গেল ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমিফাইনালে ইতালির ক্লাব জুভেন্টাসের কাছে হারের পর। সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ের পর রোনালদো নাকি ড্রেসিং রুমে ফিরে হু হু করে কাঁদেন। স্প্যানিশ একটি টেলিভেশন চ্যানেলই দিয়েছে এমন খবর। ডেসিং রুমে ফেরার পথে টানেলেই চোখ মুছতে থাকেন রোনালদো। রুমে ফিরে নিজেকে ধরে রাখতে পারে নি টানা দুই বারের ব্যালন ডি’অরজয়ী এ উইঙ্গার। একাধারে কেঁদেই চলেন। দলের সিনিয়র খেলোয়াড়রাও তাকে সান্ত¡না দিতে পারছিলেন না। এমন কি জুনিয়াররা গিয়েও তার কাঁধে হাত রেখে কান্না নিবরাণের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। ওই হারের জন্য বারবার নিজেকেই দুষছিলেন রোনালদো। সবাই তার কান্না থামানোর চেষ্টা করলে রোনালদো এবার লকার রূমে চলে যান। সেখানে গিয়ে দরজা বন্ধ করে একা একা অনেক্ষণ কাঁদেন তিনি। রোনালদোর এ আবেগী মন বেশ আগেই দেখা গেছে। ২০০৪ সালে ইউরো ফাইনালে গ্রিসের কাছে পর্তুগালের হারের পর মাঠের মধ্যে বাচ্চার মত হু হু করে কেঁদেছিলেন এই পর্তুগিজ। পর্তুগালের তখনকার কোট ফেলিপে লুইস স্কলারি তাকে অনেক বুঝিয়ে-শুনিয়ে কান্না থামান। একই ঘটনা হয় ২০০৮ সালে। সেবার রোনালদোর তখনকার দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপা জেতে। ফাইনালে টাইব্রেকারে পেনাল্টি শট মিস করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যানইউ জেতে। আর ম্যাচ জিতে আবেগী রোনালদো কান্নায় ভেঙে পড়েন। আর সেবার তাকে সান্ত¡না দেন পিতৃতুল্য কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। কিন্তু এখন বয়স বেড়েছে। তাই চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমিফাইনাল থেক ছিটকে গিয়ে মাঠের মধ্যেই কাঁদতে পারেন নি তিনি। তাই কাঁদলেন একা একা দরজা বন্ধ করে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৪:১৪ অপরাহ্ণ | মে ১৬, ২০১৫