দেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী তপন ভট্টাচার্য (৬২) আর নেই

স্টাফ রিপোর্টার, ১৪ মে ২০১৫, বৃহস্পতিবার,
দেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী তপন ভট্টাচার্য (৬২) আর নেই। বুধবার (১৩ মে) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান
পারিবারিক সুৃত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই তার শারীরিক অবস’ার অবনতি হয়। পরে তাকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান।
রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী তপন ভট্টাচার্য ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অগ্রসৈনিক ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে, এক মেয়ে, স্ত্রী ও ভাইসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও স্বজন রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শহরের নওমল মসজিদ রোড এলাকায় নিজ বাড়িতে ভীড় জমে। দেশের রবীন্দ্র সঙ্গীতের একজন শ্রেষ্ঠ শিল্পীর আকস্মিক প্রয়াণে শোকাচ্ছন্ন সংস্কৃতির শহর ময়মনসিংহ।
উল্লেখ্য শয্যাশায়ী ছোট ভাই নাট্যাভিনেতা অরুণ ভট্টাচার্যকে দেখতে ময়মনসিংহ শহরের নওমহল এলাকায় নিজের পৈতৃক ভিটায় এসেছিলেন প্রখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী তপন ভট্টাচার্য (৬২)। শোকে স-ব্ধ ছোট ভাই অরুণ ভট্টাচার্য নয়ন (৫৭)। আমার বড় ভাই অত্যন- ভাল মানুষ ছিলেন। ছিলেন অসামপ্রদায়িক। পরিবারের সবার কথা চিন-া করতেন। সারাক্ষণ মানুষের কথা ভাবতেন। সবাইকে সৎ পরামর্শ দিতেন। সাংস্কৃতিক আন্দোলনে কখনোই পিছ পা হতেন না।
১৯৭৪ সালে শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাসিরাবাদ কলেজ ছাত্র সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বহুরূপী নাট্য সংস’ার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শাহাদাত হোসেন হিলু। আর এ সংসদে সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন তপন ভট্টাচার্য।
খ্যাতিমান এ রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পীর স্মৃতিকাতরতায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। বলেন, তিনি ছিলেন অসামপ্রদায়িক উদার মানুষ। রবীন্দ্র সঙ্গীতের প্রতি ছিল তাঁর প্রগাঢ় ভালবাসা। হঠাৎ করে আমরা তাঁকে হারালাম। ১৯৭৫ সালে না নাসিরাবাদ কলেজে ‘দমকল’ নাটকে অসাধারণ অভিনয় করেছিলেন। এ শোক আমাদের নীরবে কাঁদাচ্ছে।
ময়মনসিংহ জেলা কমিউনিস্ট পাটির্র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত বলেন, তপন ভট্টাচার্য সংগঠক ও কন্ঠশিল্পী ছিলেন। ছাত্র আন্দোলনে উজ্জীবিত করতে ময়মনসিংহের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে গিয়ে তিনি গান গেয়েছেন। সকলকে সহজেই আপন করে নেয়ার অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল তার।
তপন ভট্টাচাযের্র একমাত্র ছেলে অনিন্দ ভট্টাচার্য ব্যাংককে চাকরি করছেন। একমাত্র মেয়ে স্বামীর সঙ্গে থাকেন তুরস্কে। আর স্ত্রী ডলি ভট্টাচার্য থাকেন কলকাতায়। #