| সকাল ৯:৫৩ - শনিবার - ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঈশ্বরগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি,
ময়মনসিংহের ঈশ্বরঞ্জে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে নিয়োাগে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন ৬২ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও শিক্ষা অফিসের লোকজনের যোগসাজসে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার ওই অভিযোগ এনে সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক চাকুরী প্রার্থী।
শিক্ষা অফিস ও অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ১৯১(৮০) স্মারক মূলে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ৬২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে দপ্তরী কাম নৈশ্য প্রহরী পদে নিয়োগ দানের লক্ষ্যে স’ানীয়ভাবে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। উক্ত নিয়োগের আওতায় নারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রার্থী হন বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এরিয়ার উচাখিলা ইউনিয়নের হরিয়াখালী গ্রামের মোঃ আঃ হালিম। তাকে নিয়োগ না দেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষা অফিসারের সহায়তায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তার ছেলেকে নিয়োগ দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকার কারসাজী করতে থাকে। নিয়োগের জন্য আবেদনপত্র জমাদানের শেষ দিন প্রধান শিক্ষক প্রত্যয়নপত্র প্রদান করে। প্রত্যায়নপত্র পাওয়ার পর আবেদনপত্রসহ আঃ হালিম সকল কাগজপত্র নিয়ে উপজেলা সদরে আসার সময় বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন ও তার কয়েকজন সহযোগী মিলে তার সকল কাগজপত্র দেখার কথা বলে ছিড়ে ফেলে। যে কারণে আঃ হালিম তার আবেদনপত্রটি জমা দিতে পারেননি। পরে বিষয়টি নিয়ে চাকুরী প্রার্থী হালিম সোমবার উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বিষয়টি নিয়ে নারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়টি অস্বীকার এবং স্কুলে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে তার ছেলের প্রার্থীতা স্বীকার করে বলেন, একটি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে কারো আবেদন করার সুযোগ আছে। আঃ হালিমের কাগজপত্র ছিড়ে ফেলার বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেন।
নারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজনীন সুলতানা জানান, যারা তার কাছ থেকে প্রত্যায়ণ নিতে এসেছে সকলকেই প্রত্যয়ন দেওয়া হয়েছে। তবে হালিম নামে একজন প্রত্যয়ন নিতে এলে তাকে সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ে আসতে বললে পরে তিনি আর আসেননি।
সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা অফিসার নূরুল আমিন জানান, লিখিত অভিযোগের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে শিক্ষা অফিসের লোকজনের অনিয়ম করার কোন সুযোগ নেই বলে তিনি উলেস্নখ করেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলী জানান, এ বিষয়ে তিনি একটি অভিযোগপত্র পেয়েছেন। অভিযোগটি তদন- করে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট যথা সময়ে প্রতিবেদন জমা দিবেন বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব কুমার সরকার জানান, দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে একটি বিদ্যালয়ের অভিয়োগপত্র তিনি পেয়েছেন। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে তার কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দানের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে নিদের্শ দিয়েছেন।##

সর্বশেষ আপডেটঃ ৬:৪২ অপরাহ্ণ | মে ১১, ২০১৫