| ভোর ৫:৫৭ - শুক্রবার - ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

মোবাইলে রিংটোন ও ওয়েলকাম টিউন হিসেবে জাতীয় সংগীত অবৈধ

অন লাইন ডেস্ক | ১০  মে ২০১৫, রোববার,

মোবাইল ফোনে রিংটোন ও ওয়েলকাম টিউন হিসেবে জাতীয় সংগীতের (আমার সোনার বাংলা) বাণিজ্যিক ব্যবহারকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। দেশের দুই মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণ ফোন ও বাংলালিংকের করা আপিলের আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারকের আপিল বেঞ্চ সোমবার এই রায় দেয়। এই রায়ের ফলে মোবাইল ফোনের রিংটোন হিসেবে জাতীয় সংগীতের ব্যবহার নিষিদ্ধ।  হাই কোর্টের রায়ে গ্রামীণফোনকে লিভার ফাউন্ডেশনে এবং বাংলালিংককে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি রিসার্চে ‘দাতব্য অনুদান’ হিসাবে  ৫০ লাখ টাকা দিতে বলা হয়েছিল। আপিল বিভাগের রায়ে ওই অর্থের পরিমাণ কমিয়ে ৩০ লাখ টাকা করা হয়েছে।  ২০০৬ সালে জাতীয় সঙ্গীতকে রিংটোন এবং ওয়েলকাম টিউন হিসেবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে কালিপদ মৃধা হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। তার যুক্তি ছিল, সংবিধানের ৪ অনুচ্ছেদে জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় প্রতীক সংরক্ষণের কথা বলা আছে।  এ ছাড়া ১৯৭৮ সালের জাতীয় সংগীত বিধানে ২০টি ক্ষেত্রে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু মোবাইল ফোনের রিংটোন হিসেবে জাতীয় সংগীত ব্যবহার সংবিধান ও আইনের পরিপন্থী। তার আবেদনের ওপর শুনানি করে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের হাই কোর্ট বেঞ্চ ২০১০ সালের ৫ অগাস্ট মোবাইল ফোনে রিংটোন ও ওয়েলকাম টিউন হিসেবে জাতীয় সংগীতের ব্যবহার অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করে।ওই রিট আবেদনে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের পাশাপাশি মোবাইল অপারেটর রবিও বিবাদী হিসাবে ছিল। তাদেরও ৫০ লাখ টাকা দাতব্য অনুদান দিতে বলা হয়েছিল। রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মাসুদ আহমেদ সাঈদ জানান, হাই কোর্টের শুনানিতে মোবাইল কোম্পানিগুলোর পক্ষে কোনো আইনজীবী না আসায় বিচারক ওই দাতব্য অনুদান দেওয়ার নির্দেশনা দেয়। গ্রামীণ ফোন ও বাংলালিংক হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন করলেও সোমবার সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তা খারিজ হয়ে গেল। রিটকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন মাসুদ আহমেদ সাঈদ। সরকারপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রাজা।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৪:৩০ অপরাহ্ণ | মে ১১, ২০১৫