| বিকাল ৫:০০ - মঙ্গলবার - ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নেপালে ১০ লাখ শিশুর স্কুলে যাওয়া অনিশ্চিত: ইউনিসেফ

অনলাইন ডেস্ক |৯ মে ২০১৫, শনিবার:

আগামী ১৫ই মে নেপালে স্কুলগুলো পুনরায় চালু হওয়ার কথা। অথচ, দেশটিতে প্রায় ১০ লাখ শিশু স্কুলে ফিরতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষা প্রদানের জন্য পর্যাপ্ত অস্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করা বা ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল ভবনগুলো না সারানো হলে, পরিস্থিতি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। গত ২৫শে এপ্রিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত হয় পুরো নেপাল। আর তাতে প্রায় ২৪,০০০ শ্রেণীকক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত বা বিধ্বস্ত হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন কাঠমা-ু পোস্ট। শিক্ষা ক্ষেত্রে যে সঙ্কট দেখা দিয়েছে, তা আরও প্রকট আকার ধারণ করবে আসন্ন দিনগুলোতে, এমন আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। নেপালে ইউনিসেফের প্রতিনিধি তোমু হোজুমি বলেন, ভূমিকম্পে আক্রান্ত শিশুদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে প্রাণরক্ষার ত্রাণ সরবরাহ করা উচিত। অবিলম্বে তাদের সুপেয় পানি ও আশ্রয় প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। গোর্খা, সিন্ধুপালচক ও নুওয়াকোটের মতো ভূমিকম্পে সবচেয়ে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত জেলাসমূহে ৯০ শতাংশেরও বেশি স্কুল সম্পূর্ণ বা অনেকাংশে বিধ্বস্ত হয়েছে। ধাদি জেলায় প্রায় ৮০ শতাংশ স্কুল বিধ্বস্ত হয়েছে। এদিকে কাঠমা-ু ও ভক্তপুরে ভূমিকম্পের পরও টিকে যাওয়া প্রতি ১০টির মধ্যে ৯টি স্কুল ভূমিকম্পে আক্রান্তদের জন্য জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। নেপালে গত ২৫ বছরে অর্থাৎ, ১৯৯০ সাল থেকে প্রাথমিক স্কুলের শতকরা হার ৬৪ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৯৫ শতাংশেরও বেশিতে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু, ৭ দশমিক ৮ মাত্রার মাত্রার ভূমিকম্প এবং ৬ দশমিক ৬ মাত্রার পরাঘাতসহ (আফটার শক) দেড় শতাধিক পরাঘাত নেপালের শিক্ষা ব্যবস্থাকে গুরুতর সঙ্কটের সামনে দাঁড় করিয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৫:৪৯ অপরাহ্ণ | মে ০৯, ২০১৫