| সকাল ৮:৫৮ - শুক্রবার - ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ভূমধ্যসাগর থেকে ৩৪০০ অভিবাসীকে উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক |৩ মে ২০১৫, রবিবার:

ভূমধ্যসাগর থেকে তিন হাজার চারশ’রও বেশি অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে ইতালিয়ান কোস্ট গার্ড। শনিবার (২ মে) সাগরের লিবিয়া উপকূল ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে এদের উদ্ধার করা হয়।

জীবিকার সন্ধানে আফ্রিকা ও এশিয়া থেকে ইউরোপমুখী জনস্রোত ঠেকাতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) যখন কার্যকর পদক্ষেপ খুঁজতে গলদঘর্ম হচ্ছে- ঠিক সেই মুহূর্তে এই খবর এলো।

ইতালিয়ান কোস্ট গার্ডের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে রোববার (৩ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, ভূমধ্যসাগরে অভিযান চালিয়ে লিবিয়া উপকূল ও তৎসংলগ্ন এলাকা ছেড়ে আসা বেশ কিছু নৌযান থেকে তিন হাজার ৪২৭ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়।

গত ১২ এপ্রিল প্রায় ৩৮শ’ অভিবাসী উদ্ধারের পর এতো বেশি অভিবাসী আটকা পড়লো ইতালিয়ান কোস্টগার্ডের জালে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, রাজধানী রোমের সদরদফতরের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত অভিযানে কোস্টগার্ডের সদস্যরা ১৬টি নৌযান আটক করেন। এসব নৌযান থেকে উদ্ধার করা হয় তিন হাজার ৪২৭ অভিবাসীকে। এসময় বেশ কিছু দালালকেও আটক করা হয়।

শনিবার রাতেই কিছু অভিবাসীর লাম্পেদুসায় পৌঁছানোর কথা ছিল। বাকিদের সিসিলি ও দক্ষিণ ইতালিতে পৌঁছানোর কথা ছিল রোববার রাতে।

ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম জানায়, অভিযানে উল্লেখযোগ্য সহযোগিতা করেছে ফরাসি নিরাপত্তা বাহিনী।

উদ্ধার এই বিপুলসংখ্যক অভিবাসীর মধ্যে তৎক্ষণাৎ কারও জাতীয়তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাই এদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি রয়েছে কিনা তাও জানা যায়নি।

গত ১৯ এপ্রিল রাতে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে পেলাগি দ্বীপপুঞ্জের লাম্পেদুসা থেকে প্রায় একশ’ ৯৩ কিলোমিটার দক্ষিণে লিবিয়ার জলসীমায় নয়শ’ যাত্রী নিয়ে একটি নৌযান ডুবে যায়। স্মরণকালের মর্মান্তিক ওই  দুর্ঘটনায় ভূমধ্যসাগরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এ প্রেক্ষিতে সাগরে প্রাণহানি ঠেকাতে এবং মানবপাচার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে দফায় দফায় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে না পারলেও ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি বৈঠকে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে একমত পোষণ করেন ওই অঞ্চলের নেতারা। সেইসঙ্গে মানবপাচার রোধে ভূমধ্যসাগর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারে মাসিক খরচ বরাদ্দ তিনগুণ করে ৯৭ লাখ ডলার করার বিষয়েও মতামত দেন তারা। নৌযান ডুবির ঘটনাকে সামনে রেখে জীবন বাঁচাতে অতিরিক্ত জাহাজ, প্লেন ও হেলিকপ্টার ব্যবহারের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয় ওই বৈঠকে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৪:২১ অপরাহ্ণ | মে ০৩, ২০১৫