| রাত ২:৫৭ - বৃহস্পতিবার - ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

পাকিস্তানের ত্রাণ স্পর্শ করবে না নেপাল!

নেপালে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডুর আশপাশে এলাকায় চলছে হাহাকার। চারদিকে লাশের গন্ধ, আহতদের আর্তনাদ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ দুর্গত নেপালিদের সাহায্য এগিয়ে এসেছে। পাকিস্তান তাদের অন্যতম। কিন্তু হিন্দুপ্রধান দেশ নেপালে পাকিস্তান ত্রাণসামগ্রী হিসেবে ‘বিফ মশলা’র প্যাকেট পাঠানোয় দেশটিতে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।

হিন্দুপ্রধান দেশ নেপালে শুধু গরুর মাংসই নিষিদ্ধ নয়, গরু জবাই করারও দণ্ডনীয় অপরাধ।
নেপালিরা বলছেন, খাবারের অভাবে মারা গেলেও পাকিস্তানি ত্রাণ স্পর্শ করবেন না তারা।

কাঠমান্ডু বীর হাসপাতালের ভারতীয় চিকিৎসকরা বুধবার  জানান, নেপালের দুর্গত লোকদের ত্রাণসামগ্রীর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার পাকিস্তান ‘বিফ মশলা’ পাঠিয়েছে। দুর্গতদের চিকিৎসার জন্য ভারত ওই চিকিৎসকদের কাঠমান্ডুতে পাঠিয়েছে।
চিকিৎসক বালিন্দার সিং বলেন, ‘আমরা যখন পাকিস্তানের ত্রাণসামগ্রী গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলাম, আমরা সেখানে প্রস্তুতকৃত খাবারের প্যাকেটের সঙ্গে বিফ মশলার প্যাকেটও পেয়েছিলাম।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ওই খাবার স্পর্শ করিনি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেপালি চিকিৎসক জানান, অধিকাংশ স্থানীয় লোকজন এ ব্যাপারে সচেতন রয়েছে। তারাও তাদের এরকম কোনো ত্রাণ গ্রহণ করবে না। তারা এগুলো এড়িয়ে চলছে।
তিনি আরো বলেন, ‘পাকিস্তান এ রকম মশলা পাঠিয়ে নেপালি জনগণের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হেনেছে। সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে পাকিস্তান যত্নশীল নয়।’
দেশটির শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি তাদের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা ও গোয়েন্দাপ্রধানকে অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এটি সত্য হলে, পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে ভাটা পড়বে। ঘনিষ্ঠ সহযোগী ভারতকেও বিষয়টি অবহিত করা হবে।
তবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র তাসনিম আসলাম বলেন, ‘আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। এ রকম কাজের জন্য আমি দায়ী নই। ত্রাণসামগ্রী পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ পাঠিয়েছে।’

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:৫৮ পূর্বাহ্ণ | মে ০১, ২০১৫