| রাত ৩:৪৩ - বুধবার - ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে উৎপাদন বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আহবান

ঢাকা, ৩০ এপ্রিল ২০১৫ (বাসস ) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রমিক এবং মালিক পরস্পর সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে কলকারখানার উৎপাদন বৃদ্ধিতে আরও নিবেদিত হবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মহান মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রমিক এবং মালিক পরস্পর সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে কলকারখানার উৎপাদন বৃদ্ধিতে আরও নিবেদিত হবেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান মে দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। আগামীকাল মহান মে দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে।
১৮৮৬ সালের এ দিনে আমেরিকার শিকাগো শহরে যে শ্রমিকরা আত্মাহুতি দিয়ে শ্রমজীবী মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
বাণীতে তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন বঞ্চিত, মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি বলেছিলেন ‘বিশ্ব আজ দু’ভাগে বিভক্ত, একদিকে শোষক, আরেকদিকে শোষিত- আমি শোষিতের পক্ষে’। তিনি পরিত্যক্ত কলকারখানা জাতীয়করণ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।
জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে বর্তমান সরকার দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ও কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে বাণীতে তিনি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিএনপি-জামাত জোট আমলে বন্ধ হয়ে যাওয়া কলকারখানা চালু করেছি। পোশাক শিল্পসহ ৩৮টি শিল্পখাতের শ্রমিকদের জন্য নিম্নতর মজুরি ঘোষণা করেছি। জাতীয় শিশু শ্রমনীতি ২০১০ এবং জাতীয় শ্রমনীতি ২০১২ প্রণয়ন করা হয়েছে। মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বজায় রাখা, নিরাপদ কর্ম পরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্নমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। দেশের শিল্পখাতের উন্নযনে সরকারের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে আমরা ‘কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদপ্তর’কে অধিদপ্তরে উন্নীত করেছি। এর জনবল তিনগুণেরও বেশি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনবল বৃদ্ধি করাসহ শ্রম পরিদপ্তরকে আরও শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,তার সরকার শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে লাগসই প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ব্যবহার এবং উন্নত ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।
“মহান মে দিবসকে শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার এক অবিস্মরণীয় দিন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মেহনতি মানুষের সাথে একাত্মতা ঘোষণা এবং তাঁদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি মহান মে দিবস ২০১৫ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:১২ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ৩০, ২০১৫